আগের তিন ম্যাচে কোন গোল হজম করেনি লিভারপুল, জিতেছে তিনটি ম্যাচেই! আত্মবিশ্বাসের তাই কমতি ছিল না তাঁদের। কিন্তু নটিংহ্যাম ফরেস্ট সেই আত্মবিশ্বাসের বেলুন ফুটো করে দিলো যেন, সপ্তাহের সেরা চমক জাগানিয়া পারফরম্যান্স উপহার দিলো তাঁরা – ক্যালাম হাডসন ওদইয়ের একমাত্র গোলে অলরেডদের হারিয়েছে দলটি।
নদীর স্রোত তখন একদিনেই বহমান, একের পর এক আক্রমণ করে নটিংহ্যাম ফরেস্টের দুর্গে ফাটল ধরাতে ব্যস্ত লিভারপুল। তবে ৭২ মিনিটের সময় হুট করেই স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে যান অ্যান্থনি ইলাঙ্গা, বলের দখল পেয়েই ছুট দেন প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে।
ডান দিক দিয়ে খানিকটা ভিতরে ঢুকে চোখে লেগে থাকার মত একটা থ্রু বল বাড়িয়ে দেন তিনি। সেটারই সুবাদে হাডসন ওদই বল পেয়ে যান ফাঁকায়, দারুণ ক্ষীপ্রতায় অ্যালিসন বেকারকে পরাস্ত করেন তিনি – ফরেস্ট তখন উৎসবের আতিশয্যে মেতে উঠে। আর ইতিহাদের স্বাগতিক দর্শকরা তখন স্তব্ধ, বিমূঢ়!
অথচ হ্যাটট্রিক জয় সঙ্গে করে ঘরের মাঠে পুচকে নটিংহ্যামের বিপক্ষে মাঠে নামার সময় এমন কিছুই ভাবেননি মোহাম্মদ সালাহরা। ১৭ মিনিটের মাথায়ই গোল হতে পারতো কিন্তু, লুইস দিয়াজের শট বারে লেগে ফিরে আসলে সে যাত্রায় রক্ষা পায় সফরকারীরা। প্রথমার্ধে আরো অন্তত তিনবার তাঁরা রক্ষা পায় গোলরক্ষক ম্যাটজ সিলসের কল্যাণে।
দ্বিতীয়ার্ধে সেই চাপ ধরে রেখে গোল করতে মরিয়া হয়ে উঠে আর্নে স্লটের শিষ্যরা। সেটাই বোধহয় কাল হয়েছিল তাঁদের জন্য, অতি-আক্রমণাত্বক হতে গিয়ে হজম করতে হয়েছে ক্লাসিক কাউন্টার অ্যাটাক আর প্রথম সুযোগেই লিভারপুলের হৃদয় ভেঙেছেন হাডসন।
আগের তিন ম্যাচে সেই অর্থে বড় দলের মুখোমুখি হয়নি নটিংহ্যাম, লিভারপুলকে দিয়েই শুরু। আর সূচনাতে মনে রাখার মতই একটা ম্যাচ পার করলো তাঁরা – সবমিলিয়ে দুই জয় এবং দুই ড্রয়ের সুবাদে তাঁদের অবস্থান চার নম্বরে। অন্যদিকে ম্যানসিটির সঙ্গে সমানে সমানে দৌড়াতে থাকা লিভারপুল এবার পিছিয়ে পড়লো তিন পয়েন্টের ব্যবধানে।