রঙিন আকাশের বায়ুসেনা

প্রথম ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে এমনিতেই কোণঠাসা বাংলাদেশ দল। এরপর আবার এই ম্যাচেই ইনজুরিতে পড়েছেন তিন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। ফলে জিম্বাবুয়েতে বাংলাদেশ দল যেন একটা অথৈই সাগরে পড়েছে। আর সেই সংকট কাঁটিয়ে উঠতেই বাংলাদেশ দল আপাতত ভরসা করছে নাঈম শেখ ও এবাদত হোসেনের উপর। জরুরী ভিত্তিতে আজ সন্ধ্যায় এই দুইজন ধরবেন জিম্বাবুয়ের ফ্লাইট।

প্রথম ম্যাচে ইনজুরিতে পড়েছেন বাংলাদেশের ওপেনার লিটন দাস। এই সিরিজেই আর খেলা হচ্ছে না লিটনের। এছাড়া মুশফিকুর রহিম ও পেসার শরিফুল ইসলামেরও ইনজুরির সমস্যা আছে। তবে এই দুজনের ইনজুরি খুব একটা গুরুতর না।

তবুও ব্যাকআপ হিসেবে নাঈম শেখ ও এবাদত হোসেনকে জিম্বাবুয়ে পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। যদিও তাঁরা যখন পৌঁছাবেন তখন সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ প্রায় শেষের পথে। তবে তৃতীয় ম্যাচের দলের জন্য বিবেচিত হবেন এই দুজন।

ওদিকে মূলত টেস্ট ক্রিকেট খেলা এবাদত হোসেন হঠাৎ করেই ডাক পেলেন জিম্বাবুয়ের জন্য। এমনকি এখন বাংলা টাইগার্সের সাথে অনুশীলন করার জন্য খুলনায় ছিলেন এই পেসার। তবে ডাক পেয়ে দ্রুতই ছুটে এসেছেন বিসিবিতে।

একটু অবাক হয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নে এবাদত বলছিলেন, ‘আমি আসলে খুলনায় ছিলাম বাংলা টাইগার্সের সাথে। এইচপির সাথে ম্যাচ খেলার কথা ছিল আমার। তবে হঠাৎই গতকাল রাতে কল আসায় চলে আসতে হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ, সিরিজের শুরুতেই যাওয়ার কথা ছিল এখন মাঝে যাচ্ছি। চেষ্টা করবো সেখানে গিয়ে দেশের জন্য ভালো কিছু করার।’

ওদিকে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পেসার হয়ে উঠেছেন এবাদত হোসেন। বিশেষ করে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের পর থেকেই তাঁর উপর আস্থাটা আরো অনেক বেশি। তবে সাদা বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে কখনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেননি এই পেসার। তবে এবার হয়তো শেষ ম্যাচে একটা সুযোগ পেতে পারেন এই পেসার। তবে দলের সাথে বাড়তি পেসার হিসেবে হাসান মাহমুদও আছেন। ফলে একাদশে এবাদতের সুযোগ হবে কিনা সেটা এখনো নিশ্চিত না।

অবশ্য জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাসকিন আহমেদ, শরিফুলরা খুব একটা ভালো করতে পারছেন না। ফলে তাঁদেরকে বিশ্রাম দিয়ে হয়তো এবাদতকে ম্যাচ খেলানোও হতে পারে। তবে পেস বোলারদের নিয়ে এখনই সমালোচনা করতে রাজি নন এই পেসার। নিজদের সতীর্থ পেসারদের জন্য ঢালাও হয়ে দাড়ালেন এই পেসার।

মিরপুরে এবাদত বলছিলেন, ‘দেখেন গত দুই বছর ধরেই আমাদের পেস ইউনিট খুব ভালো করছে। আমরা সবাই মিলেই চেষ্টা করছি উন্নতি করার জন্য। তাসকিন, শরিফুল, মুস্তাফিজ, আমি, খালেদ সবাই খুবই ভালো করছে। দুই একটা ম্যাচ খারাপ হতেই পারে তবে আমরা হাল ছাড়বো না।’

এবাদত হাল ছাড়তে না চাইলেও সত্য হচ্ছে হারারের স্পোর্টিং উইকেটে বেশ চাপেই আছে বাংলাদেশের পেসাররা। তাসকিন, শরিফুল কিংবা মুস্তাফিজ কেউই  ঠিক নিজেদের সেরাটা দিতে পারছেন না। সে তুলনায় হাসান মাহমুদ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভালো বোলিং করেছিলেন। ফলে পরের দুই ম্যাচে তাঁকে একাদশে দেখার সম্ভাবনাই বেশি। এছাড়া এবাদত সুযোগ পেলে তাঁর জন্যও এটা হবে নতুন এক চ্যালেঞ্জ।

এবাদতের সাথে আজ সন্ধ্যায় বিমান ধরবেন নাঈম শেখও। তবে একাদশে নাঈমের খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কেননা লিটনের জায়গায় হয়তো এনামুল হক বিজয়ই ওপেন করবেন। এছাড়া তিন নাম্বারে খেলার জন্য নাজমুল হোসেন শান্ত আছেনই। তবে একাদশ যাইহোক, বাংলাদেশ খুব করেই চাইবে দুটো ম্যাচই জিতে সিরিজ নিশ্চিত করতে।

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link