মিরপুরের উইকেটে চতুর্থ দিন সকালে ব্যাট করতে হবে। জয়ের জন্য ভারতের চাই ঠিক ১০০ রান। হাতে আছে ছয় উইকেট। তবে সকালে ব্যাট করতে নেমেই বিশাল ধাক্কা। সাকিব আল হাসান আর মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্নি যেন সামলানোই যাচ্ছেনা। আজ মাত্র ২৯ রান যোগ করতেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে তাঁরা।
জয়ের জন্য ভারতের তখনো প্রয়োজন ৭১ রান। বাংলাদেশের প্রয়োজন ৩ উইকেট। সেই সময়ে ম্যাচে পরিষ্কার ফেভারিট বাংলাদেশ। ভারতকে হারানোর জন্য আর মাত্র তিনটা উইকেটের অপেক্ষা।
তবে সেখান থেকে আবার ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনতে শুরু করেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও শ্রেয়াস আইয়ার। দুজনে স্পিনটা বেশ স্বাচ্ছন্দেই খেলতে থাকবেন। একটা সময় ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন আর মাত্র ১৬ রান। তবে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তখনো বিশ্বাস করেন বাংলাদেশের জেতা সম্ভব। তাইতো তাঁর সেরা অস্ত্র মিরাজকে বোলিংয়ে নিয়ে এলেন।
তবে ওভারের প্রথম বলটাই মিরাজ করলেন শর্ট লেন্থে। সেট হয়ে যাওয়া অশ্বিন এক হাতেই বলটাকে সীমানার ওপারে আঁচরে ফেললেন। আর সেই ছয়েই ভেঙে গেল বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন। ওই ওভারেই আরো দুটি বাউন্ডারি মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেছিলেন অশ্বিন।
ম্যাচ শেষে অশ্বিনের সে ছয়ের প্রসঙ্গটা এল সাকিব আল হাসানের সংবাদ সম্মেলনেও। সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিব বললেন, ‘মিরাজের বলে ওই ছক্কাটা হওয়ার আগ পর্যন্ত বিশ্বাস ছিল। কারণ, সে সময় যেকোনো কিছুই হতে পারত। একজন বোলার হ্যাটট্রিকও করতে পারত।’
অশ্বিন ও আইয়ারকেও কৃতিত্ব দিয়েছেন সাকিব, ‘ওরা খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। উইকেট সহজ ছিল না। ওদের কৃতিত্ব দিতেই হয়। আমরা সব কিছুই চেষ্টা করেছি। কিন্তু কিছুটা শর্ট ছিলাম।’
সাকিব আরও যোগ করেন, ‘৭৫ রানে ৭ উইকেট ফেলে দেওয়ার পর আপনি আশা করবেন যে দল জিতবে। এখন অবশ্য বলা কঠিন, কি হলে কি হতে পারত। আমরা হয়তো আরেকটু ভালো বল করতে পারতাম। হয়তো আরেকটু লড়াই!’
তবে ম্যাচ হারলেও এখন দলের মানসিকতা নিয়ে বেশ খুশি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তিনি মনে করেন এই মানসিকতা ধরে রাখতে পারলে ভবিষ্যতে আরো ভালো করা সম্ভব। সাকিব বলেন, ’আমরা পুরো টেস্ট ম্যাচেই লড়াই করেছি। এই মানসিকতাটা ধরে রাখতে পারলে অনেক টেস্ট ম্যাচের ফল আমাদের পক্ষে আসবে।’
জয়ের খুব কাছে গিয়ে হারার মধ্যেও সাকিব ইতিবাচকতা খুঁজে পেয়েছেন, ‘কাছে গিয়ে হেরে যাওয়ার আক্ষেপ তো আছেই। তবে এটাও ভালো যে আমরা জয়ের কাছে যেতে পারছি। নতুন আশা করি, ফল আসা শুরু করবে।’