২০২৩ সালের এশিয়া কাপ পাকিস্তানের মাটিতে হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ভারতের আপত্তিতে বাধ্য হয়ে সহ-আয়োজক হিসেবে শ্রীলঙ্কা যুক্ত হয় এই টুর্নামেন্টে। তাতে অবশ্য আর্থিক লেনদেনে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে অবস্থার অবনতি ঘটেছে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ডের মাঝে; দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে বাড়তে পারে এই জটিলতা।
৩০শে আগস্ট থেকে শুরু করে ১৭ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মহাদেশীয় টুর্নামেন্টে মাঠে গড়িয়েছে। এরপর থেকেই দুই ক্রিকেট বোর্ডের মাঝে আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিবাদ দেখা দিয়েছে।
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) সাম্প্রতিক সময়ে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে মিলিত হয়েছিল।সেখানে প্রথম পিসিবির কাছে টাকা দাবি করে অভিযোগ করেন লঙ্কান ক্রিকেট সংস্থা। যদিও এসিসির সভাপতি জয় শাহ তাঁদেরকে সরাসরি পিসিবি প্রধানের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন।
গোপন সূত্র থেকে জানা যায় যে, পাকিস্তানের অবস্থান আবার এসিসির একাধিক সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে। শিডিউল ঠিক রাখতে চার্টার্ড ফ্লাইটের মাধ্যমে ক্রিকেটারদের শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ভ্রমণ করিয়েছিল পিসিবি। সেই খরচ এখনো মহাদেশীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে পায়নি তাঁরা।
মূলত হোস্টিং ফি হিসেবে পাকিস্তানকে ২.৫ মিলিয়ন ডলার দেয়ার কথা ছিল এসিসির। কিন্তু এশিয়া কাপ আয়োজনে প্রায় 4 মিলিয়ন ডলার খরচ হয়। চারটি চার্টার্ড ফ্লাইটের জন্য ২ লক্ষ ৮১ হাজার ডলার এবং শ্রীলঙ্কাকে ভেন্যু ভাড়া, হোটেল ভাড়া হিসেবে প্রায় ২১ লক্ষ ডলার দিতে হয়েছে। প্রাথমিক বাজেটের সঙ্গে খরচের এই বিশাল পার্থক্যের কারণেই সৃষ্টি হয়েছে লঙ্কাানদে প্রাপ্য অর্থের একটা অংচ দেয়া সম্ভব হয়নি।
পিসিবির দাবি, শ্রীলঙ্কাতে এশিয়া কাপ আয়োজন করার পিছনে দায়ী এসিসি। তাঁদেরকেই বাড়তি বহন করতে হবে। এখন দেখার বিষয়, দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড এবং এশিয়ান ক্রিকেটের প্রতিষ্ঠানটি কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।