‘ব্র্যান্ড’ বীরত্বে বিরল কীর্তি!

টেস্ট অভিষেকেই দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার বিরল কীর্তি! ইতিহাসে ঠাই পাওয়ার জন্য নিল ব্র্যান্ডের এতটুকুই যথেষ্ট ছিল। তবে প্রোটিয়া এ ক্রিকেটার যেন ছাপিয়ে গেলেন সবাইকে। গড়লেন নতুন এক ইতিহাস। মাউন্ট মঙ্গানুইতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টেস্ট অভিষেক, সাথে নেতৃত্ব। এই দুই কীর্তিকে বিশালতায় নিয়ে গেলেন ক্যারিয়ারের প্রথম ইনিংসেই বল হাতে ফাইফার তুলে নিয়ে। 

টেস্ট অভিষেকেই দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার বিরল কীর্তি! ইতিহাসে ঠাই পাওয়ার জন্য নিল ব্র্যান্ডের এতটুকুই যথেষ্ট ছিল। তবে প্রোটিয়া এ ক্রিকেটার যেন ছাপিয়ে গেলেন সবাইকে। গড়লেন নতুন এক ইতিহাস। মাউন্ট মঙ্গানুইতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টেস্ট অভিষেক, সাথে নেতৃত্ব। এই দুই কীর্তিকে বিশালতায় নিয়ে গেলেন ক্যারিয়ারের প্রথম ইনিংসেই বল হাতে ফাইফার তুলে নিয়ে।

নিল ব্র্যান্ডের আগে প্রোটিয়া অধিনায়ক হিসেবে এর আগে ফাইফার নেওয়ার কীর্তি আছে আরো ৩ জনের। শন পোলক তো একাই নিয়েছেন ৪ বার। তবে নিল ব্র্যান্ড যে মাহাত্ম্য যোগ করলেন এই ফাইফারে, সেই কীর্তি আর নেই কোনো প্রোটিয়া ক্রিকেটারের। শুধুই কি তাই, ১১৯ রানে ৬ উইকেট নেওয়া ব্র্যান্ডের এই বোলিং ফিগারটাই তো এখন অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকে টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ড।

নিল ব্র্যান্ডের এই রেকর্ড গড়ার দিনেই আবার ফিরে এসেছে প্রায় দুই যুগ আগে করা নাইমুর রহমান দুর্জয়ের একটি কীর্তি। ২০০০ সালে বাংলাদেশের টেস্ট আঙিনায় পা রাখার প্রথম ম্যাচটাতে তিনিই অধিনায়ক ছিলেন। আর সে ম্যাচের প্রথম ইনিংস ১৩২ রানে ৬ উইকেট শিকার করেছিলেন দুর্জয়। প্রায় ২৪ বছর আগে গড়া সেই রেকর্ডটাই ২০২৪-এ এসে অতীত হয়ে গেল নিল ব্র্যান্ডের বীরত্বে।

তবে বল হাতে ব্র্যান্ড এ কীর্তি গড়লেও তাঁর মূল পরিচয় অবশ্য ব্যাটে। ৫১ টা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ম্যাচে ৭২ টা উইকেট সঙ্গী তাঁর ক্যারিয়ারে। নেই কোনো ফাইফার। আর তাই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এ ম্যাচে অনেকটা পার্ট টাইমার বোলার হিসেবেই খেলছিলেন। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে ততক্ষণে ৬১ ওভার পেরিয়ে গেছে। কিন্তু উইকেট পড়েছে মাত্র ২ টা। অথচ ৩৯ রানেই সেই ২ উইকেট হারিয়েছিল কিউইরা।

কিন্তু এরপর রাচিন রবীন্দ্র আর কেন উইলিয়ামসন গড়লেন প্রায় অপ্রতিরোধ্য এক জুটি। একশো পেরিয়ে দুইশো-তে গড়িয়ে যায় তাদের পার্টনারশিপ। কোনোভাবেই কিউই ইনিংসে ধাক্কা দেওয়ার উপায়ন্তর খুঁজে না পেয়ে বোলিং প্রান্তে আসেন নিল ব্র্যান্ড। আর এরপরেই দৃশ্যপট পাল্টে যেতে শুরু করেন। রাচিন-উইলিয়ামসনের জুটিটা যদিও ভেঙেছিলেন ডি সোয়াডর্ট।

তবে এরপর ড্যারিল মিশেলকে ইনিংস বড় করার পথে বাঁধাটা দিয়েছিলেন সেই ব্র্যান্ড। মিশেলকে নিজের হাতেই তালুবন্দী করার পর গ্লেন ফিলিপসের উইকেটও তুলে নেন তিনি। এরপর একে একে তিনি ফেরান স্যান্টনার, ম্যাট হেনরি আর সাউদিকে। মাঝে ডাবল সেঞ্চুরি করা রাচিন রবীন্দ্রকেও বোল্ড করেন নিল ব্র্যান্ড।

 

অধিনায়কত্ব, বল হাতে ৬ উইকেট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দারুণ অভিষেক যাকে বলে, সেটিই করে দেখিয়েছেন ২৭ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার। যদিও বল হাতে তাঁর দারুণ কীর্তিতেও ৫১১ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে নিউজিল্যান্ড। তবে নিল ব্র্যান্ড যে প্রোটিয়া ক্রিকেটের আগামীর ব্র্যান্ড হওয়ার পথে হাঁটছেন সেটি নিশ্চিত সুরেই আপাতত বলা যায়।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...