পাকিস্তানের সেমির পথ ভীষণ কঠিন

নিজেদের পরের ম্যাচ জিতলেই শুধু হবে না ফখর জামানদের, তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যদের দিকেও।

প্রথম দুই ম্যাচ জিতে দারুণভাবে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে পরাজয়ে সব ওলটপালট হয়ে যায়; একের পর এক হারে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায় তাঁদের। কিন্তু বাংলাদেশ আর নিউজিল্যান্ডকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে আবারো সেমিফাইনালের দৌড়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন বাবর আজমের দল।

তবে সেরা চারে জায়গা করে নেয়াটা মোটেই সহজ হবে না। এখন পর্যন্ত আট পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে টেবিলের চার, পাঁচ ও ছয় নম্বরে রয়েছে নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান; দুই দলের একটি করে ম্যাচ থাকলেও আফগানদের আবার হাতে আছে দুই ম্যাচ। সেজন্য নিজেদের পরের ম্যাচ জিতলেই শুধু হবে না ফখর জামানদের, তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যদের দিকেও।

কিন্তু আগে নিজেদের কাজটা তো করা চাই, ১৯৯২ সালের বিশ্চ্যাম্পিয়নদের হারাতেই হবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে। একই সাথে শ্রীলঙ্কা যাতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পায় এবং আফগানিস্তান যেন দুই ম্যাচেই হারে সেই প্রার্থনাও করতে হবে।

কিন্তু যদি নিউজিল্যান্ড জিতে যায়, কিংবা আফগানিস্তান কোনভাবে দুই পয়েন্ট পায় অস্ট্রেলিয়া কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার কাছ থেকে তাহলে নেট রান রেটের হিসেবে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে কিউইরা যে ব্যবধানে জিতবে তার চেয়ে অনেক বড় ব্যবধানে জিততে হবে পাকিস্তানকে। ধারণা করা যাচ্ছে যে, শ্রীলঙ্কা ১ রানে হারলে পাকিস্তানকে কমপক্ষে ১৩০ রানে জিততে হবে পরের রাউন্ডে যেতে চাইলে।

অন্যদিকে আফগানিস্তান এক ম্যাচ জিতলেও সেটা যেন বড় ব্যবধানে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবে পাক সমর্থেকরা। অবশ্য রশিদ, মুজিবরা দুই ম্যাচেই জিতে গেলে সব সমীকরণ বৃথা যাবে – প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলবে তাঁরা।

বাবর আজমদের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো তাঁদের শেষ ম্যাচ নিউজিল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা দ্বৈরথের পরে। তাই এই লড়াইয়ের ফলাফল অনুযায়ী নিজেদের সেমির পথ সম্পর্কে পরিষ্কার জ্ঞান নিয়েই মাঠে নামতে পারবে পাকিস্তান। একই সাথে আফগানিস্তানও যদি অস্ট্রেলিয়ার কাছে উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে হেরে যায় তাহলে আরো নির্ভার থাকবে দলটি।

 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...