বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছিল পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচ হেরে গেলেও পরের দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে তাঁরা। অর্থাৎ বলাই যায়, প্রস্তুতি দারুণভাবেই সেরেছে বাবর আজমের দল। সেই ব্যাপারটাই এবার উঠে এসেছে শাহীন শাহ আফ্রিদির কণ্ঠে।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে এই সিরিজের গুরুত্ব তুলে ধরেছিলেন তিনি। তাঁর মতে, ‘বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের আগে পাকিস্তানের জন্য ম্যাচগুলো খুবই দরকার ছিল। এর ফলে তাঁরা নিজেদের শক্তি এবং দুর্বলতা সম্পর্কে ভালভাবে জানতে পেরেছে। হ্যাঁ, এখনও আমাদের কিছু জায়গায় উন্নতির দরকার আছে।’
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান ১৩৯ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন। তাই তো বাঁ-হাতি এই পেসার আলাদা করে তাঁদের প্রশংসা করতে ভোলেননি। তিনি বলেন, ‘তাঁরা দু’জনেই বিশ্ব মানের ব্যাটার এবং তাঁরা জানে কিভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে হয়। মাঠে তাঁরা সেই জ্ঞানকেই কাজে লাগিয়েছে।’
যদিও আইরিশদের বিপক্ষে বোলারদের পারফরম্যান্স একদমই প্রত্যাশা অনুযায়ী ছিল না। ব্যতিক্রমী দুই একটি স্পেল বাদ দিলে তিন ম্যাচেই মোহাম্মদ আমির, হাসান আলীরা নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সত্যি বলতে, যে পেস আক্রমণ নিয়ে পাকিস্তানের এত গর্ব সেটা অনেকটাই নখদন্তহীন হয়ে পড়েছিল সর্বশেষ সিরিজে।
বাবরদের পরের মিশন ইংল্যান্ড সিরিজ, বিশ্বকাপ শুরুর আগে শেষবারের মত নিজেদের যাচাই করে নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে তাঁরা। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের মধ্য দিয়ে ২০২১ সালের পর দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে পারলো দলটি, এবার জয়ের ধারা অব্যাহত রাখার পালা।
তবে সেজন্য বোলারদের, বিশেষ করে পেসারদের দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে হবে। সেই সাথে ব্যাটারদেরও ধারাবাহিকতা ধরে রাখার দিকে মনোযোগী হতে হবে; তবেই মিলবে সফলতা।