অনলাইন কোচ নিয়োগের ইস্যুতে এখন উত্তপ্ত পাকিস্তানের ক্রিকেট পাড়া। দেশি নাকি বিদেশি কোচ সেই বিতর্ক যেন থামছেই না। এরই মধ্যে পাকিস্তান দলের সাথে যুক্ত থাকা সাবেক নির্বাচক সিকান্দার বখত জানালেন, দেশি কোচদের মোটেই সম্মান করেন না পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা।
এমনিতেই পাকিস্তানের কোচদের সাথে কিছু খেলোয়াড়দের শীতল সম্পর্ক থাকাটা প্রায় স্বাভাবিকই হয়ে গেছে এতদিনে। দেশি কোচদের মধ্যে কিংবদন্তি ওয়াকার ইউনিস, সাকলাইন মুস্তাকরা কোচিং করিয়েছেন নিজ দেশকে। যদিও আগের মেয়াদে দীর্ঘদিন দায়িত্বে থাকা মিকি আর্থারদের সাথে খুব উষ্ম সম্পর্ক ছিলো খেলোয়াড়দের।
সাবেক জাতীয় নির্বাচক সিকান্দার বখত দীর্ঘদিন পাকিস্তান দলের সঙ্গে ছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বখত জানালেন, দেশি কোচদের তাদের প্রাপ্য সম্মান দেয় না জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। বিদেশি কোচেরা যেই সম্মান পান তার খুব অংশই পেয়ে থাকেন দেশি কোচরা। যার কারণে দেশি কোচরা সবসময় চাপে থাকেন। কয়েকদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে ওয়াসিম আকরাম ও দেশি কোচদের ওপর মাত্রাতিরিক্ত চাপের কথা বলেন।
পাকিস্তানের এক খেলোয়াড়ের সাথে ঘটে যাওয়া নিজের ঘটনা স্মরণ করে বখত বলেন, ‘আমি যখন দলের সাথে ছিলাম তখন আমি একদিন এক খেলোয়াড়কে কিছু একটা বলছিলাম। তখন সে বলে, তুমি পাকিস্তানের হয়ে ২৬ টেস্ট খেলেছো আর আমি ৪০ টি টেস্ট খেলেছি। আর তুমি আমাকে শেখাতে চাইছ? আমি এই কথায় কোনো ভুল নেই, আমি হলফ করে বললাম।’
খেলোয়াড়রা বিদেশি কোচদের সাথেই সাথে ভালো ব্যবহার করে। তাদের আচরণ’ ব্যাখা করতে গিয়ে বখত বলেন, ‘মিকি আর্থার কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ না খেললেও খেলোয়াড়দের ম্যানেজমেন্ট এ ভালো। আর বিদেশি বলে খেলোয়াড়রাও তাকে মেনে চলে।
বিশ্ব ক্রিকেটেই এখন কোচ পাওয়াটা কষ্টসাধ্য। ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের এই যুগে পূর্ণকালীন দায়িত্ব পালনের জন্য যোগ্য কোচ পাওয়াটা অনেকটাই সোনার হরিণের মত। অনেক দেশই তাই ঝুকছে বিদেশি কোচদের দিকে। যদিও পাকিস্তান পূর্ণ মেয়াদে কোচ না পেয়ে অভিনব এক প্রথা প্রবর্তন করেছে তাদের ম্যানেজমেন্টে। অনলাইনে পাকিস্তান দলকে কোচিং করাবেন দক্ষিন আফ্রিকান মিকি আর্থার।
কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে ওয়াসিম আকরাম জানিয়েছিলেন, কি পরিমাণ অবমাননার শিকার হন দেশিয় কোচেরা। সেই কারণেই কখনো পাকিস্তান দলের কোচ হবেন না বলে জানান ওয়াসিম। এবার সিকান্দার বখত জানালেন, দেশি কোচদের প্রতি কোনো কৃতজ্ঞতা বোধই নেই ক্রিকেটারদের।
বখত আরো বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক কোচ আছে। জাভেদ মিয়াদাদ, সাকলাইন মুশতাক, মোহাম্মদ ইউসুফরা যোগ্য কোচ হলেও তারা দল পরিচালনা করতে পারেন না এসব কারণে।’