বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য সব প্রস্তুতিই সেরে ফেলেছে পাকিস্তান দল। অনুশীলন পর্বের শুরু থেকেই মিরপুরের উইকেট নিয়ে বেশ চিন্তায় ছিলেন কোচ মাইক হেসন। অধিনায়ক সালমান আলী আঘাও সমীহ করেই দেখছেন বাংলাদেশকে।
সব মিলিয়ে কোন পরিকল্পনায় একাদশ সাজাবে পাকিস্তান? ঘরের মাঠে বাংলাদেশ কঠিন প্রতিপক্ষ। যেকোনো দলের জন্যই ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে লিটনের দল।
ম্যাচের আগে প্রেস কনফারেন্সে তাই তো বাংলাদেশকে নিয়ে খুবই সচেতন অধিনায়ক সালমান আলী আঘা। তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য অ্যাওয়ে কন্ডিশন। যেকোনো মাঠ, যেকোনো ভেন্যু, যেকোনো দেশেই বাংলাদেশ ভালো দল। বিশেষ করে ঘরের মাঠে খেলা হলে তো খুবই ভালো দল। আমরা জানি কী কী চ্যালেঞ্জ সামনে আসতে পারে। মাঠে নামতে আমরা এক্সাইটেড এবং চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে আছি।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে এই চ্যালেঞ্জ নিতে একাদশ নিয়েও হয়তো বাড়তি পরিকল্পনা করবেন কোচ-ক্যাপ্টেন। তাই তো শুরুতেই প্রশ্ন আসে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ওপেনিংয়ে সায়িম আইয়ুবের সঙ্গী কে হবেন?
আগের সিরিজে প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হয়ে বাদ পড়েছিলেন অভিজ্ঞ ফখর জামান। তার জায়গায় সুযোগ পাওয়া শাহিবজাদা ফারহান দ্বিতীয় ম্যাচে ঝড় তুলেছিলেন ৭৪ রানের ইনিংসে।
ডানহাতি হওয়ায় বাঁহাতি সায়িমের সঙ্গে জুটিতে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারবেন ফারহান, পাশাপাশি ইনিংস গুছিয়ে নেওয়ার দক্ষতাও আছে তার। সব মিলিয়ে ফখরের চেয়ে এগিয়ে থাকবেন তিনি।
তিনে মোহাম্মদ হারিস অপরিবর্তিত থাকার কথা। আগের সিরিজে সেঞ্চুরি করেছেন, তার ওপর বিপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশের কন্ডিশন ভালোভাবেই জানা তার। মিডল অর্ডারের দায়িত্বে থাকবেন হাসান নওয়াজ।
বেশ কিছু অলরাউন্ডার থাকায় লাক্সারি পাবে পাকিস্তান দল। শাদাব খানের অনুপস্থিতিতে দলের ভারসাম্য ধরে রাখার দায়িত্ব থাকবে সালমান আলী আঘা, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নওয়াজ ও ফাহিম আশরাফদের কাঁধে।
বোলিং ইউনিটে আব্বাস আফ্রিদি, আবরার আহমেদ, সালমান মিরজা। হাসান আলিকে বিশ্রাম দেওয়ায় পেস আক্রমণের মূল ভরসা এখন আব্বাস আফ্রিদি। গত সিরিজে দুর্দান্ত ছিলেন, গতি ও বৈচিত্র্যের সংমিশ্রণে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেন প্রতিপক্ষের জন্য।
সব মিলিয়ে পাকিস্তানের সম্ভাব্য একাদশ হতে পারে, শাহিবজাদা ফারহান, সায়িম আইয়ুব, মোহাম্মদ হারিস, হাসান নওয়াজ, সালমান আলী আঘা (অধিনায়ক), খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নওয়াজ, ফাহিম আশরাফ, আব্বাস আফ্রিদি, আবরার আহমেদ, সালমান মিরজা।