বর্তমান সময়ে পাকিস্তান ক্রিকেট যেন বিশৃঙ্খলার অপর নাম। পরিবর্তনের নামে পক্ষপাতিত্ব, উন্নয়নের নামে অপচয়, বৈঠকের পর বৈঠক, আর বড় পরিবর্তনের নামে মিথ্যে আশ্বাস- এ নিয়েই চলছে পাকিস্তান ক্রিকেট। তাই প্রশ্ন জাগে বারবার, এভাবে চলতে থাকলে গ্রিন আর্মিরা কবে পাবে শিরোপার দেখা? কোন পথে মিলবে পাকিস্তানের এই হ-য-ব-র-ল অবস্থার সমাধান?
হয়তো সেই উত্তর লুকিয়ে আছে সমস্যাগুলোর মাঝেই। পাকিস্তানের ক্রিকেটে পরিবর্তন আবশ্যক, এটা সত্য। তবে মূখ্য পরিবর্তনটা প্রয়োজন তাঁদের মানসিকতায়। বিগত বছরগুলোর পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে দেখা যায় ছন্দহীন এক পাকিস্তানের। গত বছরের বিশ্বকাপ থেকেই স্থির হতে পারছে না বাবর আজম-শাহীন আফ্রিদিরা।
দৃঢ় মানসিকতার উদাহরণ হিসেবে আনা যায় সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপ জয়ী ভারতকে। এবারের আসরে শিরোপা জয়ের ক্ষুধা তাঁদের চোখে-মুখে ফুটে উঠেছিল প্রতি ম্যাচে। ব্যতিক্রম নয় আফগানিস্তান কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকাও। তাঁরা সেই উর্বর মানসিকতার ফলও পেয়েছে বিশ্ব মঞ্চে। তাছাড়া পাকিস্তান ক্রিকেটে প্রয়োজন স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা আর পক্ষপাতিত্বহীনতার উপস্থিতি।
সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তো রীতিমত লজ্জার সাগরে হাবুডুবু খেয়েছে পাকিস্তান। হেরেছে খর্বশক্তির যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে, তারপর পরাজয়ের স্বাদ পায় চির-প্রতিদ্বন্দী ভারতের কাছেও। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলোর বাহ্যিক প্রতিফলনই দেখা গিয়েছে এবারের বিশ্বকাপে।
সেই ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ, তারপর ২০০৯ সালে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর সর্বশেষ সাফল্য বলতে পাকিস্তানের ঝুলিতে রয়েছে ২০১৭ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। বোঝাই যাচ্ছে শিরোপা জিততে পাকিস্তান ক্রিকেট বেশ অনিয়মিত।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নবম আসর। বাবর আজমের বাহিনী ঘরের মাঠে তাঁদের ট্রফি খরা ঘুচাতে পারে কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়। তবে তার আগে করতে হবে নিজেদের অভ্যন্তরীন সমস্যাগুলোর সমাধান।