সাময়িকভাবে দল থেকে বাদ বাবর!

মনে আছে, অফ ফর্মের জের ধরে লিটন দাসকে একটা সময় জাতীয় দল থেকে সাময়িকভাবে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল?

মনে আছে, অফ ফর্মের জের ধরে লিটন দাসকে একটা সময় জাতীয় দল থেকে সাময়িকভাবে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল? ২০২১ সালের বিশ্বকাপ পরবর্তী সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে পাকিস্তানে, অভ্যন্তরীণ একটি সূত্র জানিয়েছে বাবর আজমকে দল থেকে সাময়িকভাবে বাদ দেয়ার পরিকল্পনা করছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এসময় ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে তাঁর নিজেকে পুনরায় প্রমাণ করতে হবে।

বর্তমানে অবিশ্বাস্য এক রান খরার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন এই ব্যাটার, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবশেষ সেঞ্চুরি করেছেন ২০২৩ সালের এশিয়া কাপে। সেটিও আবার খর্বশক্তির নেপালের বিপক্ষে। টুর্নামেন্টের বাকি অংশে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি, ওয়ানডে বিশ্বকাপেও ছিল একই ধারাবাহিকতা। চলতি বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তো তাঁর অবস্থান তলানিতে পৌঁছেছিল।

এত কিছুর পরও খানিকটা ভরসা ছিল এই ডানহাতির ওপর, নিজেকে শুধরে নিবেন এমন প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের বিপক্ষে আরো একবার সুপার ফ্লপ হলেন তিনি। চার ইনিংসে করেছেন মোটে ৬৪ রান, ব্যাটিং গড় ১৬ আর সর্বোচ্চ ৩১!

সবমিলিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ১৬ ইনিংস ধরে কোন হাফ-সেঞ্চুরি নেই বাবর আজমের নামের পাশে, সবশেষ ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অর্ধ-শতকের দেখা পেয়েছেন তিনি। এমতাবস্থায় বোর্ডের কাছ থেকে কঠিন সিদ্ধান্ত আসাটা স্বাভাবিকই বটে। ইতোমধ্যে তাঁকে নিয়ে পরিকল্পনা করেছে টিম ম্যানেজম্যান্ট, ফেরত পাঠানো হবে ঘরোয়া ক্রিকেটে।

কেবল রান করলেই হবে না, এই তারকাকে ফিটনেসের দিকে নজর দেয়ার ব্যাপারেও কড়া নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাই ফিটনেসে উন্নতি করতে না পারলে হয়তো পাকিস্তানের জার্সি আপাতত তুলে রাখতে হবে।

বাদ পড়ার পর লিটন দাস অবশ্য দুর্দান্ত এক প্রত্যাবর্তন করেছিলেন, ২০২২ সাল তাঁর কেটেছে স্বপ্নের মত। টেস্টে দলের সেরা ব্যাটারদের একজন তিনি, বাকি দুই ফরম্যাটে ধারাবাহিকতার সমস্যা থাকলেও রান পাচ্ছেন নিয়মিত। বাবর আজমের ক্যারিয়ারও হোঁচট খেয়ে নতুন গতি পাবে তাঁর মত? সময়ই দিবে এই প্রশ্নের উত্তর।

Share via
Copy link