পাকিস্তান ক্রিকেট ধ্বংসের পথে

দলের গুরুত্বপূর্ণ এই সদস্যদের বিশ্রাম দেওয়া নিয়ে বেজায় চটেছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফ। তিনি নিজের রাগ উগড়ে দিয়েছেন গণ মাধম্যে। তিনি মনে করেন পাকিস্তান ক্রিকেটকে ধ্বংসের একটা পায়তারা চালাচ্ছে বর্তমান ক্রিকেট বোর্ড।

পাকিস্তান সুপার লিগ চলমান। ঠিক এরপরই পাকিস্তান তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আরব আমিরাতে বিমানে চেপে বসবে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেই সিরিজের জন্যে ইতোমধ্যেই দল ঘোষণা করে ফেলেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। আর তাতেই চারিদিকে নানারকম গুঞ্জনের সঞ্চার ঘটেছে।

১৫ সদস্যের দল ঘোষণার পর পাকিস্তানের ক্রিকেট মহল বেশ সরগরম। কেননা সেই দল থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে দলের পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে। শাহিন শাহ আফ্রিদি, বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ানরা থাকছেন না আফগানদের বিপক্ষে সিরিজে। সেই সাথে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে হারিস রউফ ও ফখর জামানকেও।

দলের গুরুত্বপূর্ণ এই সদস্যদের বিশ্রাম দেওয়া নিয়ে বেজায় চটেছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফ। তিনি নিজের রাগ উগড়ে দিয়েছেন গণমাধম্যে। তিনি মনে করেন পাকিস্তান ক্রিকেটকে ধ্বংসের একটা পায়তারা চালাচ্ছে বর্তমান ক্রিকেট বোর্ড। দলের ভেতর বিশৃংঙ্খলা সৃষ্টি করতেই এমন পথে ধরেছে পিসিবি। তিনি মনে করেন পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক সব স্বীকৃতিও পছন্দ হচ্ছে না ক্রিকেট বোর্ড কর্তাদের।

রশিদ লতিফ লেখেন, ‘আমাদের খেলোয়াড়রা বহুদিন বাদে আইসিসি র‍্যাংকিংয়ে জায়গা করে নিচ্ছে পাশাপাশি সম্মাননা পাচ্ছে। তাদের (পিসিবি) এই বিষয়টি হজম হচ্ছে না। তাঁরা বলেছে তাঁরা এমনটি হতে দেবে না এবং আমরা এসেছি ও সিদ্ধান্ত নেবো। ৭০-৮০ বছরের লোকেরা যাদের বিশ্রাম নেওয়া উচিত, যারা কখনো বিশ্রাম নেয়নি তাঁরা এখন পাকিস্তান ক্রিকেট ভাগ্য নির্ধারণ করছে।’

বাবর ও রিজওয়ান পাকিস্তান দলের এক অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছিলেন। তাদের ছাড়া পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি যেন কেউ কল্পনাই করতে পারে না। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের স্ট্রাইক রেট নিয়ে ভীষণ আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে বিশ্বজুড়ে। আর সে আলোচনায় গা ভাসিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড, তেমনটাই মত রশিদ লতিফের।

তিনি বলেন, ‘নতুন খেলোয়াড় যুক্ত করে আপনি দলের কম্বিনেশন ভেঙে ফেলছেন। কিছু খেলোয়াড়, যাদেরকে নির্বাচিত করা হয়েছে তাঁরা আফগানিস্তান সিরিজে ভাল করবে। তখন কি তাঁরা কম স্ট্রাইকরেটের সিনিয়র খেলোয়াড়দের ফিরিয়ে আনবে। গণমাধ্যমও তাদের উপর চাপ প্রয়োগ করবে। এটা পাকিস্তান দলকে ধ্বংস করার প্রথম পদক্ষেপ।’

যদিও পিসিবির প্রধান নির্বাচক হারুন রশিদ জানিয়েছেন ভিন্ন অভিমত। আগামী বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে বসতে চলেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। সেই বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। জাতীয় দলের পুলে পর্যাপ্ত পরিমাণ খেলোয়াড় মজুদ করে রাখতে চাইছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। সে পথেই অগ্রসর হচ্ছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...