দলে মোক্ষ, একজন কোচ আর অধিনায়কের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু তা হারে হারে টের পাচ্ছে পাকিস্তান। তাইতো গভীর রাতেই বৈঠকে বসতে হল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কর্মকর্তাদের। একটা সিদ্ধান্ত তো নিতেই হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে পিসিবির হেড কোয়ার্টারে বোর্ড কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পিসিবির চীফ অপারেটিং অফিসার সালমান নাসির ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য মোহাম্মদ ইউসুফ, ওয়াহাব রিয়াজ, আব্দুল রাজ্জাক, বিলাল আফজাল এবং ডিরেক্টর অফ ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট উস্মান ওয়াহলা।
আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু ছিল পাকিস্তান ক্রিকেটের ভবিষ্যত কোচ-অধিনায়ক। সেখানে নির্বাচন কমিটির সদস্যরা তাঁদের নিজ নিজ প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন।
সূত্র অনুযায়ী, একক প্রধান কোচের ধারণা থেকে সরে এসেছে পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার গ্যারি ক্রিস্টেন আর অস্ট্রেলিয়ার জেসন গিলেস্পির সাথে তাদের আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
তাঁরা ভিন্ন ফরম্যাটের জন্য পৃথক কোচ রাখার পরিকল্পনা করছে। জানিয়ে রাখা ভাল, ২০১১ সালের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন ভারতের কোচ ছিলেন গ্যারি কার্স্টেন। অন্যদিকে, লাল বলে গিলেস্পির দখল বেশ ভাল।
তাই সাদা বলের জন্য কার্স্টেন আর লাল বলের জন্য গিলেস্পিকে রাখার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তাছাড়া খেলোয়াড়দের বিরামহীন কোচিং সেবা দেয়ার লক্ষ্যে কোচদের ওভারলেপিং ব্যবস্থা রাখা হবে। অর্থাৎ একজন কোচ তাঁর অভিজ্ঞতা অন্য ফরম্যাটেও কাজে লাগাতে পারবে।
পাকিস্তানে স্থানীয় কোচিং প্রতিভার অনুপস্থিতি ঘোচাতে বিদেশী কোচের পাশাপাশি স্থানীয় কোচদেরও রাখা হবে কোচিং প্যানেলে। তাছাড়া সেখানে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব নিয়েও আলোচনা হয়।
শাহীন শাহ আফ্রিদিকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সরানোর প্রস্তাব করা হয়। তাঁর পরিবর্তে বাবর আজম আর মোহাম্মদ রিজওয়ানের নাম উঠে আসছে। আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত শাহীনকে তাঁর দায়িত্বে বহাল রাখার প্রস্তাবও দেয়া হয় সেই আলোচনায়। তবে শেষ পর্যন্ত সকল সিদ্ধান্তের ভার দেয়া হয় মহসিন নাকভির উপর।
এসব জল্পনা- কল্পনার মধ্যেই শাহীন তাঁর দায়িত্ব থেকে সরে আসার কথা ভাবছেন। কেননা শাহীনের মতে, তিনি তাঁর দায়িত্ব নিয়ে এখনো ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছেন। যাই হোক, ঘনিষ্ঠ সুত্র থেকে তাঁকে এ ধরণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান করা হচ্ছে।