২০২১ সালে চলতে চলতে মাঝপথেই স্থগিত করা হয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ভারতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে টুর্নামেন্টটি চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) পক্ষে। তবে, এরপরই প্লাজমা প্রিমিয়ার লিগ (পিপিএল) চালু হয়ে গেছে ঠিকই।
কি এই পিপিএল? একটু ভেঙে বলা যাক।
এখনো ভারতে করোনা সংক্রমণে দুর্বিষহ অবস্থা যাচ্ছে। প্রত্যেকদিন করোনাতে গড়ে হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে, লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এই অবস্থায় করোনা আইপিএলে হানা দেওয়ার পর ক্রিকেটের লড়াই থেমে গেলেও জীবন বাচানোর লড়াই, করোনাতে দুর্বিষহ মানুষদের পাশে থাকতে সবাইকে শামিল করার জন্য এই পিপিএল চালু করা হয়েছে।
করোনার আক্রান্তদের চিকিৎসায় রক্ত ও প্লাজমার যে আকাল দেখা দিয়েছে দেশজুড়ে, তার ঘাটতি মেটাতেই অভিনব এই উদ্যোগের ভাবনা নিয়ে এসেছেন ঝাড়খন্ডের বিজেপি নেতা কুনাল সারঙ্গী। আর এই উদ্যোগে শামিল হয়েছেন দুই আইপিএল তারকা সৌরভ তিওয়ারি ও বিরাট সিং।
তারা আইপিএলে যথাক্রমে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ দলে খেলেছেন। তারা দুইজনেরই বেড়ে ওঠা ঝাড়খন্ডে। আবার দুইজনই এই রাজ্য দলের হয়েই সবসময় ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছেন। তাই এই কঠিন সময়ে তাঁদের এই রাজ্যের জন্য, ভারতের জন্য এরকম কিছু করার সুযোগ পেয়েই তারা অংশগ্রহণ করেছে।
এই লিগে অংশগ্রহণকারীরা প্লাজমা ও রক্ত দান করে করোনা যোদ্ধার মর্যাদা পেতে পারেন। এর ফলে শুধু তাদের রাজ্যের না, ভারতে অনেক করোনা আক্রান্ত মানুষের জীবন বাচতে পারে। তাই এমন মানবিক উদ্যোগে শামিল হতে সময় নষ্ট করেননি সৌরভ তিওয়ারি ও বিরাট সিং। মোট নয়টি দল রয়েছে পিপিএলে। প্রেশার্স প্লাজমা টাইগার্স, টেলকো রেড প্যান্থার্স, থ্রিএস ডোনেটর্স, হেল্পিং হ্যান্ডস, স্টিল সিটি ওয়ারিয়র্স, যুগসালাই মাস্ক, সানরাইজ সুপাসস্টার্স, জামশেদপুর কিংস ও রোটারাক্ট ইলেভেন।
প্রতিটা দলের হয়ে কেউ প্লাজমা অথবা রক্ত দান করলে সেই দলের ছয় বা চার রান সংগ্রহ করবে। সংগৃহীত রক্ত ও প্লাজমা জমা হবে জামশেদপুর ব্লাড ব্যাংকে। প্রতি সপ্তাহে যে দলের স্কোর সবচেয়ে বেশি হবে তারা জয়ী ঘোষিত হবে। জানিয়ে রাখা ভালো ৩১ বছর বয়সী সৌরভ তিওয়ারি আইপিএলের প্রথম আসর ২০০৮ থেকেই খেলে আসছেন।
শেষ ২০২০ এ গত আসরের আইপিএলে মূল একাদশে খেলেছেন। এছাড়াও এই বাঁ-হাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ২০১০ এ ভারতের হয়ে তিনটি ওয়ানডে খেলেছেন। আর বিরাট সিং গত আসরেই প্রথম আইপিএলে সুযোগ পেলেও এই বছর সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে এই বাহাতি মিডল অর্ডারের অভিষেক হয়েছে।