মোহাম্মদ শামি বনাম প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা, তারুণ্য নাকি অভিজ্ঞতা

কয়েক মাস আগেও তিন পেসার খুঁজে পেতে কষ্ট হয়ে যেত নির্বাচকদের। কিন্তু, জাসপ্রিত বুমরাহ আর প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা ইনজুরি থেকে ফেরায় উল্টো কাকে রেখে কাকে খেলাবে এমন মধুর সমস্যায় পড়েছে তাঁরা।

বিশেষ করে তৃতীয় পেসার হিসেবে কে সুযোগ পাবেন – মোহাম্মদ শামি নাকি প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা সেটি এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি টিম ম্যানেজম্যান্ট। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা বয়সে তরুণ, তবে ভরসা করার মতই।

এখন পর্যন্ত ভারতের জার্সিতে যত ম্যাচ খেলেছেন সবগুলোতেই নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন। মাত্র ১৪ ওয়ানডেতে নিয়েছেন ২৫ উইকেট; এছাড়া চোট থেকে ফেরার পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও পূর্ণ ছন্দে বোলিং করেছেন তিনি।

আকস্মিক বাউন্সারে ব্যাটারকে বেকায়দায় ফেলাটা প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার শক্তির জায়গা। তাই তো মিডল ওভারগুলোতে উইকেট তুলতে রোহিত শর্মার আস্থার নাম হতে পারেন এই তরুণ। নতুন বলের সুবিধা আদায় করতেও জানেন কৃষ্ণা; ইনিংসের শুরুতেই প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার সব অস্ত্র আছে তাঁর ভান্ডারে।

অন্যদিকে অভিজ্ঞ মোহাম্মদ শামি গতি আর নিখুঁত লাইন লেন্থের বদৌলতেই পরাস্ত করেন বাঘা বাঘা ব্যাটারদের। পেস বান্ধব পিচে তো বটেই, ভারতের মত প্রতিকূল পরিবেশেও ব্যাটারদের নাভিশ্বাস তুলতে পারেন এই ডানহাতি।

শামির হাত থেকে বল কিন্তু সরাসরি পিচে আঘাত করে না, বরং এটি পিচের উপর দিয়ে স্লাইড করে চলে যায়। এর ফলে স্বাভাবিকের চেয়ে বলের গতি বেড়ে যায়।

প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার মত মোহাম্মদ শামিকেও নতুন বলে ব্যবহার করা যায়। তবে ডেথ ওভারে শামি সবচেয়ে দুর্দান্ত; ২০১৯ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তাঁর করা শেষ ওভার সেটারই প্রমাণ দেয়।

ঠিক বিপরীত চিত্র প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার; নতুন বলে আর মাঝের ওভারে তিনি যতটা ভাল, ততটাই হতাশ করেন ডেথ ওভারে। আইপিএল কিংবা জাতীয় দলে প্রায় তাঁকে শেষ দিকে এসে ছন্দ হারাতে দেখা যায়।

নতুন বলে বোলিং করার জন্য জাসপ্রিত বুমরাহ এবং মোহাম্মদ সিরাজ ভারতের প্রথম পছন্দ। মিডল ওভারে বোলিং আক্রমণে পেসারদের আনতে চাইলে সিরাজ আর হার্দিক পান্ডিয়াকে দেখা যেতে পারে।

কিন্তু, ডেথ ওভারে বুমরাহ এর সঙ্গে জুটি গড়ার মত নির্দিষ্ট কাউকে পায়নি টিম ইন্ডিয়া। সেক্ষেত্রে একাদশে সুযোগ পেতে পারেন মোহাম্মদ শামি – কেননা ডেথ ওভারে তাঁর মত নির্ভরযোগ্য বোলার থাকাটা নি:সন্দেহে এগিয়ে রাখবে ভারতকে।

অন্যদিকে তাই প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার অপেক্ষা করা ছাড়া তেমন কিছু করার নেই। চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি নিজের সময়ের জন্য অপেক্ষা করলে আকাঙ্খিত জায়গায় হয়তো একদিন পৌঁছে যাবেন তরুণ এই পেসার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link