এশিয়া কাপ মোটেই ভাল যায়নি পাকিস্তানের, ভাল যায়নি দলের মূল স্পিনার শাদাব খানেরও। ছয় ম্যাচে মাত্র ছয় উইকেট নিতে পেরেছেন তিনি, যেখানে নেপালের বিপক্ষে এক ম্যাচেই পেয়েছিলেন চার উইকেট। ভারত, শ্রীলঙ্কা ম্যাচে পাকিস্তানের ব্যর্থতার পিছনে বড় দায় আছে তাঁর।
আর তাই ভক্ত-সমর্থকদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে শাদাব খানকে। এমনকি দেশটির ক্রিকেটার মোহাম্মদ হাফিজও সরাসরি হতাশা প্রকাশ করেছেন তাঁকে নিয়ে, সেই সঙ্গে জানিয়েছেন খারাপ করার কারণও।
সাবেক এই ব্যাটার বলেন, ‘স্পিনারদের পারফরম্যান্স খুবই হতাশাজনক ছিল। শাদাব খান ভাল করতে পারেনি, টি-টোয়েন্টি লিগগুলো খেলাতেই তাঁর পারফরম্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।’
এই দু:সময়ে শাদাব খান অবশ্য পাশে পেয়েছেন আরেক সাবেক তারকা উসামা মীরকে। ‘এক্স’-এ নিজের একাউন্ট থেকে শাদাবের প্রতি সমর্থন জানান তিনি।
দর্শকদের ধন্যবাদ দিয়ে এই লেগ স্পিনার লিখেন, ‘আমাদের পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ, এটা অনেক বড় কিছু। তবে ভাল সময়ে সবাই প্রশংসা করে, কিন্তু একটু খারাপ করলেই কাউকে পাশে পাওয়া যায় না। অথচ ভাল সময়ের চেয়ে খারাপ সময়েও সমর্থনের বেশি প্রয়োজন।
তিনি আরো যোগ করেন যে, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো ১/২ ম্যাচে কেউ খারাপ ক্রিকেটার হয়ে যায় না। শাদাব খান কয়েকটা ম্যাচে পারফর্ম না করায় খারাপ হয়ে যায়নি। সবাই এখন বলাবলি করছে সে নাকি বন্ধুত্বের জন্য দলে আছে, এটা স্রেফ পাগলামি। আমি দেখেছি সে এবং বাকিটা কতটা পরিশ্রম করে। নিজের শতভাগ দেয় সবাই। যদি পরের ম্যাচে শাদাব দারুণ কিছু করে তবে কি সে সর্বকালের সেরা হবে?’
নিজের ক্যারিয়ারের কথা তুলে ধরে উসামা মীর জানান, যখন পাকিস্তানের হয়ে আমার অভিষেক হয় সবাই কত প্রশংসা করলো। এক বছর ঘরোয়া আসরে ভাল করাতে এত কিছু; কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষে গড়পড়তা হওয়াতেই আমি অযোগ্য হয়ে গিয়েছি।’
সবশেষে ভক্তদের সমালোচনার পরিবর্তে সমর্থন দিতে অনুরোধ করেন পাঞ্জাবের এই ক্রিকেটার। একইসঙ্গে পাকিস্তান সামনে ভাল কিছু করবে বলে মনে করেন তিনি।
উসামা মীর লেখেন, ‘আমার মনে হয় এই অপ্রয়োজনীয় সমালোচনা বন্ধ করা দরকার। এটা খেলোয়াড়দের উপর প্রভাব ফেলে। টিম ম্যানেজমেন্ট এবং অধিনায়ক পাকিস্তানের সাফল্যের জন্য সব সময় চেষ্টা করছে। আমি আশাবাদী পাকিস্তান দল খুব শীঘ্রই সাফল্য ও আনন্দ নিয়ে আসবে।’
শাদাব খানের ওপর আস্থা রাখছেন সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ উল হকও। তিনি বলেন, ‘আমাদের স্পিন বিভাগ পারফর্ম করেনি, তাঁর মানে এই না যে ওদের সামর্থ্য নেই। দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ভুলে গেলে চলবে না, এই শাদাব খানেরই আগের রেকর্ড দারুণ।’