জোড়া আঘাত করেছেন দুইবার। বাংলাদেশের যতটুকু স্বপ্নের খড়কুটো জমা করতে চেয়েছে, সবটুকু দমকা হাওয়া হয়ে উড়িয়ে নিয়ে গেছেন কাগিসো রাবাদা। মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশকে কামব্যাক করবার বিন্দুমাত্র সুযোগ দিতে চাননি প্রোটিয়া এই পেসার।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নেমেই নিজেকে নতুন এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তিনি। সাদা পোশাক গায়ে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেছেন তিনি। দ্রুততম বোলার হিসেবে তিনি গড়েছেন এই কীর্তি। মাত্র ৬৫ ম্যাচে ৩০০ উইকেটের গণ্ডি ছাড়িয়ে গেলেন। সেখানেই নিশ্চয়ই তিনি থেমে থাকতে চাননি।
তাই তো বাংলাদেশের বিপক্ষে উইকেট প্রাপ্তিতে ছিল তার পূর্ণ মনোযোগ। ঘরের মাঠে বাংলাদেশ যেকোন সময় ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। সেটা বেশ ভাল করেই জানা দক্ষিণ আফ্রিকার। ভরসার হাত বাড়িয়ে রাবাদা যেন বলে দিলেন, ‘আরেহ আমি আছি তো’। ব্যাস, আস্থার স্তম্ভ রাবাদা বাংলাদেশের ব্যাটারদের ত্রাস।
প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নেওয়া রাবাদা দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশকে প্রতিরোধ গড়তে দিতেই নারাজ। নিজের দ্বিতীয় ওভারে চার বলের ব্যবধানে দুইটি উইকেট তুলে নেন। ওপেনার সাদমান ইসলামের পর অভিজ্ঞ মুমিনুল হকও রাবাদার শিকারে পরিণত হন।
এরপর অবশ্য বাংলাদেশ নিজেদের একটু গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে। কিন্তু তৃতীয় দিনের শুরুতে আবারও বাংলাদেশের উপর স্টিমরোলার হয়ে হাজির রাবাদা। আবারও একই ওভারে দুইটি উইকেট তুলে নেন তিনি।
প্রথমে মাহমুদুল হাসান জয়কে ক্যাচ আউট করেন, এরপর মুশফিকুর রহিমকে বোল্ড আউট করেন কাগিসো রাবাদা। রাবাদা বাংলাদেশের সকল পরিকল্পনার পাকা ধানে মই দিয়ে দেন। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ব্যাটাররা ছিলেন একেবারে নিরুত্তর। প্রতিটি নতুন স্পেলে এসেই রাবাদা বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারে চালিয়েছেন তাণ্ডব। ধ্বংস করেছেন ফাইটব্যাক করবার সকল রাস্তা।