কিলিয়ান এমবাপ্পে ছিলেন না স্কোয়াডে; কিংসলে কোম্যান, মাইকেল অলিস বেঞ্চে বসেই কাটিয়েছেন পুরো ম্যাচ। মার্কাস থুরাম, কোলো মুয়ানি আর ক্রিস্টোফার এনকুনকু মাঠে নামলেও সেই অর্থে ছাপ রাখতে পারেননি। ফরোয়ার্ডদের এমন দিনে অ্যাড্রিয়েন র্যাবিওট নিজেই বনে গেলেন ফরোয়ার্ড; করেছেন জোড়া গোল। ‘পিউর নাম্বার নাইন’ এর মত দুইটা গোলই এসেছে হেডারের মাধ্যমে।
কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঝলক দেখিয়েছিলেন এই মিডফিল্ডার, রেফারির বাঁশি বাজার মিনিট খানেকের মধ্যে কর্নার পায় ফ্রান্স। আর সেই কর্নার কিকে মাথা ছুঁইয়ে দলকে এগিয়ে দেন তিনি।
দ্বিতীয় গোলটাও এসেছে প্রায় একই কায়দায়, ফ্রি কিক থেকে দুর্দান্ত এক হেডারে জালের ঠিকানা খুঁজে নিয়েছিলেন ফরাসি তারকা। মজার ব্যাপার, তাঁর দুই গোলেই অ্যাসিস্ট করেছেন লেফটব্যাক লুকাস ডিগনি – ডেড বল পরিস্থিতিতে ডিগনি কতটা ভয়ঙ্কর ছিলেন এদিন সেটা তাই বলার অপেক্ষা রাখে না।
র্যাবিওটের দুই গোলের মাঝে আরো একবার উদযাপনের উপলক্ষ পেয়েছিল ফ্রান্স, এই যাত্রায়ও ডিগনির সেট পিস দক্ষতা কাজে দিয়েছে। তাঁর অবিশ্বাস্য ফ্রি কিক গোলবারে লেগে ফিরে আসতে চাইলেও ইতালিয়ান গোলরক্ষক গুগলিয়েলমো ভিচারিওয়ের পিঠে লেগে আশ্রয় নেয় জালে। যদিও এই গোলের পরপরই একটা গোল শোধ করতে পেরেছিল ইতালি।
শেষমেশ ৩-১ গোলের বড় জয়ই পেয়েছে বর্তমান রানার আপরা; ১৯৯১ সালের পর এবারই প্রথম একই ম্যাচে ডেড বল থেকে তিন গোল আদায় করলো তাঁরা। অবশ্য পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে উঠতে কেবল জয় যথেষ্ট ছিল না ফ্রান্সের জন্য, জিততে হত অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে। সেই লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছে তাঁরা, তাই তো গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই পরের রাউন্ডে পা রাখতে যাচ্ছে দলটি।
একই সাথে প্রতিশোধের স্বাদও পেয়েছে দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা। চলতি নেশন্স লিগে প্রথম দেখায় ৩-১ গোলেই তাঁদের হারিয়ে দিয়েছিল ইতালি। দ্বিতীয় দেখায় একই স্কোরলাইন তাঁদের ফিরিয়ে দিয়েছে সফরকারীরা।