বিপিএলে রাজশাহীর দাপট, নোয়াখালী খুঁজছে একটি জয়!

রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের কাছে আরও এক পরাজয় বরণ করতে হলো। টানা তিন হার সঙ্গী হলো নোয়াখালী এক্সপ্রেসের। কোনো কিছুতেই যেন একটা জয় খুঁজে পাচ্ছে না তারা। রঙিন বিপিএল ক্রমশ রঙহীন হয়ে পড়ছে নোয়াখালীর জন্য।

রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের কাছে আরও এক পরাজয় বরণ করতে হলো। টানা তিন হার সঙ্গী হলো নোয়াখালী এক্সপ্রেসের। কোনো কিছুতেই যেন একটা জয় খুঁজে পাচ্ছে না তারা। রঙিন বিপিএল ক্রমশ রঙহীন হয়ে পড়ছে নোয়াখালীর জন্য।

প্রথম ম্যাচ জিতে দারুণ শুরু করা রাজশাহী খেই হারায় দ্বিতীয় ম্যাচেই। জয়ের ধারায় ফেরার জন্য পেল তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষকে। তাই তো ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়ে বল হাতে তাদের কোণঠাসা করে রাখল রাজশাহী।

যদিও শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি রাজশাহীর। বিশেষ করে প্রথম ওভারটা। তানজিম সাকিবের ১৮ রান দেওয়া ওভারটা এগিয়ে রাখে নোয়াখালীকে। তবে ধস নামতে বেশি সময় লাগেনি। রাজশাহীর বোলারদের সৃষ্টি করা চাপ থেকে আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি তারা। একাই রিপন মণ্ডল ধসিয়ে দেন ব্যাটিং লাইন-আপের অর্ধেকটা। চার ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৩ রানের বিনিময়ে শিকার করেন চারটি উইকেট।

নোয়াখালীর ব্যাটারদের কাছে কোনো উত্তর ছিল না এদিনও। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৩ রান আসে হায়দার আলীর ব্যাট থেকে। শেষমেষ নোয়াখালী থামে ১২৪ রানেই।

রাজশাহীর জন্য সহজ লক্ষ্য বলা যায়। তবে বিপত্তির শুরুটা করেন শাহিবজাদা ফারহান। বিপিএলে তাঁর ব্যর্থতা চলছেই। এতেও অবশ্য খুব বেশি ক্ষতি হয়নি রাজশাহীর। নাজমুল হোসেন শান্ত আর তানজিদ তামিম মিলে সামলে নেন বাকিটা। দুজনের জুটি থেকে আসে ৬৫ রান। তাতেই ম্যাচটা এলে পড়ে তাদের দিকে।

মাঝের সময়টাতে নোয়াখালী মরণকামড় দেয় বটে। ৬৭ থেকে ৭৩—এই ছয় রানের মধ্যেই তিন উইকেট হারায় রাজশাহী, যার পেছনে অবদানটা হাসান মাহমুদের। তবে উইকেটে থিতু হয়ে যান অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। আর বিপাকে পড়তে হয়নি রাজশাহীকে। মুশফিক আর ইয়াসির রাব্বির দৃঢ়তায় শেষমেষ ছয় উইকেটে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে রাজশাহী।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link