প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের লাইমলাইটে আসার মঞ্চ বলা হয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগকে (আইপিএল)। দেশি-বিদেশি অনেক উদীয়মান তরুণ তারকা হয়ে উঠেন এই লিগ দিয়ে।
এইতো গত বছর কলকাতা নাইট রাইডার্সের রিংকু সিং রাতারাতি নায়ক হয়ে গিয়েছিলেন। এবার একই পথে হাঁটতে চলেছেন আরেক ফিনিশার রমনদীপ সিং।
না, রিংকুর মত অতিমানবীয় কিছু এখনো করেননি তিনি; তবে নিজের পাওয়ার হিটিং সামর্থ্য ধারাবাহিকভাবে প্রমাণ করে চলছেন। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে মাত্র নয় বল খেলেছিলেন এই ব্যাটার, তাতেই করেছেন ২৪ রান – স্ট্রাইক রেট ২৬৭।
তাঁর এমন ব্যাটিংয়ের ফলে অন্তত ১০ রান বাড়তি যোগ হয়েছে কলকাতার স্কোরবোর্ডে। টি-টোয়েন্টিতে এমন ছোটখাটো বিষয়গুলোই কিন্তু ব্যবধান গড়ে দেয়।
হাফসেঞ্চুরি করেই অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার প্যাভিলিয়নে ফিরলে আট নম্বর ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে আসেন এই ডানহাতি। প্রথম দুই বলে অবশ্য দুই রানের বেশি নিতে পারেননি, তবে উনিশতম ওভারে মোহাম্মদ সিরাজ আক্রমনে আসতেই বদলে যায় দৃশ্যপট।
প্রথম বলটা মিড উইকেটের উপর দিয়ে উড়িয়ে একেবারে দর্শক সারিতে মারেন তিনি। পরের বলের ফলাফলও একই, তবে এবার ছক্কাটা হয়েছিল লং অফের ওপর দিয়ে। তৃতীয় বলে ইয়র্কার দিয়ে রান আটকাতে চেয়েছিলেন সিরাজ, কিন্তু দারুণ শটে চার আদায় করে নেন রমনদীপ।
গত মৌসুমে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে ছিলেন তিনি, এরপর মিনি নিলামে ঠিকানা বদলে চলে আসেন কলকাতায়। ম্যানেজম্যান্টের ভরসার প্রতিদান দিতে সময় লাগেনি তাঁর, অভিষেক ম্যাচেই সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে আত্মবিশ্বাসী এক ইনিংস খেলতে দেখা যায় তাঁকে।
সেদিন মাত্র ১৭ বলে ৩৫ রান করেছিলেন এই ফিনিশার। আন্দ্রে রাসেলের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের কারণে আড়ালে পড়ে গিয়েছিলেন ঠিকই, তবে চার রানের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল তাঁর।
যদিও বয়সে তরুণ নন তিনি। ক্যারিয়ারের মাঝপথে এসে এখন প্রমাণের মঞ্চ পেয়েছেন। তাই তো সেটা কাজে লাগানোর লক্ষ্যে নিজের সেরাটা উজাড় করে দিচ্ছেন।