রশিদের বিচারে টি-টোয়েন্টির সেরা পাঁচ

দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। আসন্ন এই বিশ্বকাপের আগে রশিদ খানকে তাঁর চোখে সর্বকালের সেরা পাঁচ জন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারের নাম বলতে বলা হয়েছিল। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) এক ভিডিওতে এই অলরাউন্ডার জানিয়েছেন তাঁর দেখা সেরা পাঁচ জন ক্রিকেটারের নাম।

তবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৫১ ম্যাচে ৬.২২ ইকোনোমিতে ও ১২.৬৩ গড়ে ৯৫ উইকেট শিকার করা রশিদ নিজকে রাখেননি সেই তালিকায়। এই স্পিনার যে পাঁচ জন নির্বাচন করেছেন এদের ভিতর রয়েছেন তিন জন ব্যাটসম্যান ও দু’জন অলরাউন্ডার। দেখে নেওয়া যাক কারা আছেন আফগানিস্তানের এই স্পিনারের সেরা পাঁচে।

  • বিরাট কোহলি (ভারত)

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যানদের একজন ভারতীয় অধিনায়ক। দেশের হয়ে ৮৯ ম্যাচে ৫২.৬৫ গড়ে ও ১৩৯.০৪ স্টাইকরেটে বিরাট কোহলি সংগ্রহ করেছেন ৩১৫৯ রান। কোন সেঞ্চুরি না পেলেও কোহলির ব্যাট থেকে এসেছে ২৮ টি হাফ সেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ রান ৯৪।

আর সব ধরনের টি-টোয়েন্টিতে ৪১.২০ গড়ে ও ১৩৩.৫৭ স্টাইকরেটে কোহলির ব্যাট থেকে এসেছে ১০১৩৬ রান। কোহলিকে সেরা পাঁচে নিয়ে রশিদ বলেন, ‘আসলে তাঁর করা কখনো উইকেটের উপর নির্ভর করে না। সে এমন একজন ক্রিকেটার যে উইকেট যেমনই হোক রান করবেই।’

  • কেন উইলিয়ামসন (নিউজিল্যান্ড)

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রশিদ রেখেছেন সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদে তাঁর দীর্ঘ দিনের সতীর্থ কেন উইলিয়ামসনকে। এই ব্যাটসম্যানকে রশিদ সেরা পাঁচে রেখেছেন তাঁর টেম্পারমেন্টের কারণে। মূলত ঠান্ডা মাথায় দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কিউই অধিনায়কের কোন বিকল্প নেই। এছাড়া অধিনায়ক হিসাবেও উইলিয়ামসনের দক্ষতা অসাধারণ।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৬৭ ম্যাচের ৬৫ ইনিংসে কিউই অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ১২৪.৯১ স্টাইকরেটে ও ৩১.৬৭ গড়ে ১৮০৫ রান। কোন সেঞ্চুরি না থাকলেও রয়েছে ১৩ টি হাফ সেঞ্চুরি। আর সব ধরনের টি-টোয়েন্টিতে উইলিয়ামসনের ব্যাট থেকে এসেছে ১২৪.৮৬ স্টাইকরেটে ৩১.৪৭ গড়ে ৫৪২৯ রান।

  • এবিডি ভিলিয়ার্স (দক্ষিণ আফ্রিকা)

প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলেও ব্যাটের ধার যেন একটুও কমেনি ডি ভিলিয়ার্সের। বিশ্বের সব টি-টোয়েন্টি লিগ গুলোতে নিয়মিত মুখ সাবেক প্রোটিয়া এই অধিনায়ক। ডি ভিলিয়ার্সকে ধ্বংসাত্মক ব্যাটসম্যান অ্যাখ্যা দিয়ে তাকে সেরা পাঁচে রেখেছেন রশিদ খান।

ডি ভিলিয়ার্সকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘সে যে কোন পর্যায়ে, যে কোন উইকেটে, যে কোন বোলারের বিপক্ষে দ্রুত রান তুলতে পারে এবং যে কোন শট খেলতে পারে। একজন অধিনায়ক হিসেবে আপনি এমন ব্যাটসম্যানকে সব সময় দলে পেতে চাইবেন।’

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৭৮ ম্যাচের ৭৫ ইনিংসে ভিলিয়ার্সের ব্যাট থেকে এসেছে ১৩৫.১৭ স্টাইকরেটে ও ২৬.১২ গড়ে ১৬৭২ রান। কোন সেঞ্চুরি না থাকলেও রয়েছে ১০ টি হাফ সেঞ্চুরি। আর সব ধরনের টি-টোয়েন্টিতে ভিলিয়ার্সের ব্যাট থেকে এসেছে ১৫০.১৩ স্টাইকরেটে ৩৭.২৪ গড়ে ৯৪২৪ রান।

  • কাইরেন পোলার্ড (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

রশিদ তাঁর সেরা পাঁচে দু’জন অলরাউন্ডার নিয়েছেন তাঁর একজন হলেন কাইরেন পোলার্ড। ক্যারিবিয়ান এই অলরাউন্ডার ইতোমধ্যে নিজকে গ্রেটদের কাতারে নিয়ে গেছেন। পোলার্ডের চেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি খেলেনি কোন ক্রিকেটার। ৫৬৮ টি ম্যাচ খেলেছেন এই অলরাউন্ডার।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পোলার্ডের চেয়ে বেশি রান রয়েছে শুধু ক্রিস গেইলের। টি-টোয়েন্টিতে গেইল করেছেন ১৪২৭৬ রান। আর পোলার্ডের সংগ্রহ ১৫২.৬২ স্টাইকরেটে ও ৩১.৫৬ গড়ে ১১২৩৬ রান। আর বল হাতে ২৪.৭৫ গড়ে ও ৮.২১ ইকোনোমিতে পোলার্ড শিকার করেছেন ৩০০ উইকেট। দেশের হয়ে ২৪.৬০ গড়ে ও ১৩৭.৯৩ স্টাইকরেটে করেছেন ১৩৭৮ রান। আর বল হাতে ৮.৪২ ইকোনোমিতে নিয়েছেন ৩৮ উইকেট।

  • হার্দিক পান্ডিয়া (ভারত)

রশিদের সেরা পাঁচে দ্বিতীয় অলরাউন্ডার হিসাবে রয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। ভারতীয় এই অলরাউন্ডার ব্যাট হাতে যে কোন পরিস্তিতি থেকে ম্যাচের অবস্থা পাল্টে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। পোলার্ড ও পান্ডিয়াকে সেরা পাঁচে নিয়ে রশিদ বলেন’ শেষ চার পাঁচ ওভারে ৯০ রান প্রয়োজন হলে পান্ডিয়া ও পোলার্ড সেটা করে দিতে পারে। তাই তাদের রাখা।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১৯.৩৬ গড়ে এবং ১৪৫.৩৪ স্টাইকরেটে পান্ডিয়ার ব্যাট থেকে এসেছে ৪৮৪ রান। আর বল হাতে ৮.১৭ ইকোনোমিতে শিকার করেছেন ৪২ উইকেট। সবধরণের টি-টোয়েন্টিতে ২৭.২৮ গড়ে এবং ১৪১.৪৯ স্টাইকরেটে পান্ডিয়ার ব্যাট থেকে এসেছে ২৭২৮ রান। আর বল হাতে ৮.১৪ ইকোনোমিতে শিকার করেছেন ১১০ উইকেট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link