পরাগদের আলো কেড়ে জিতলেন রশিদ খান

গত মৌসুমেও তিনি ছিলেন ট্রলের বস্তু; সামাজিক মাধ্যম কিংবা ক্রিকেটীয় অন্য কোন আসরে তাঁকে নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপে মেতে উঠতো সবাই। তবে এবার অবিশ্বাস্য এক প্রত্যাবর্তনের গল্প লেখা হলো তাঁর হাত ধরে – বলছি রিয়ান পরাগের কথা। সবশেষ গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ৭৬ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেছেন তিনি। যদিও তাঁর পারফরম্যান্স ম্লান হয়েছে রশিদ খানের অলরাউন্ডিং নৈপুণ্যে।

বল হাতে চার ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র আঠারো রান খরচ করেছেন তিনি, বিনিময়ে শিকার করেছেন জশ বাটলারের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। এরপর ব্যাটিংয়ে খেলেছেন ১১ বলে ২৪ রানের ক্যামিও। তাঁর এমন পারফরম্যান্সেই রাজস্থান রয়্যালসকে পরাজয়ের স্বাদ দিয়েছে গুজরাট টাইটান্স। ঘরের মাঠে সাঞ্জু স্যামসনের দলকে তিন উইকেটে হারিয়েছে তাঁরা।

তবে প্রথমভাগে পরাগের সঙ্গে স্যামসনের জুটির কথা না বললেই নয়। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তাঁরাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাল ধরেছিলেন দলের। এই দু’জন যখন বাইশ গজে একত্রিত হয়েছিলেন দলের রান তখন ছিল ৫.৪ ওভারে ৪২ – অথচ যখন পরাগ আউট হন তখন স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছিল ১৮.৪ ওভারে ১৭২ রান। অর্থাৎ মাঝের ১৩ ওভারে ১৩০ রান করেছিলেন তাঁরা।

তাঁদের ঝড়ো ব্যাটিংয়েই মূলত বড় সংগ্রহের পথ সহজ হয়েছে রাজস্থানের। তবে গুজরাট কাপ্তান গিল ঠিকই লড়াইয়ের মন্ত্র চেনান দলকে। ওপেনিংয়ে নেমে দারুণ ব্যাটিং উপহার দিয়েছেন তিনি, মাত্র ৩৫ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন এই ডানহাতি। এরপর আরো আগ্রাসী হয়ে উঠেন, আউট হওয়ার আগে নয় বলে করেন আরো ২২ রান। তাতেই শেষপর্যন্ত লড়াইয়ের জ্বালানি পায় স্বাগতিকরা।

ডেথ ওভারে ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দিয়েছিলেন রশিদ খান আর রাহুল তেওয়াটি। তাঁদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে অসম্ভব এক সমীকরণ মেলানোর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় দলটি। দুই ওভারে যখন প্রয়োজন ছিল ৩৫ রান, তখন কুলদীপ সেনের এক ওভার থেকেই বিশ রান আদায় করেন তাঁরা। যদিও জয় পাওয়া তখনো কঠিন ছিল, শেষ ছয় বলে করতে হতো ১৫ রান।

অবশ্য রশিদের ব্যাটে ভর করে সেটা করতে পেরেছে টাইটানরা। একাই তিন তিনটি চার হাঁকিয়ে আভেস খানকে লজ্জায় ডুবিয়েছেন তিনি। সেই সাথে রাজস্থানকে উপহার দিয়েছেন আসরের প্রথম পরাজয় আর তাঁর দলও টানা দুই হারের পর জয়ের ধারায় ফিরতে সক্ষম হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link