লাল বলের ‘ম্যাজিশিয়ান’

ভারতকে হারিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয় করেছেন নিউজিল্যান্ড। তবে, ওই চামড়ায় মোড়ানো লাল বলটা কার আঙুলে সবচেয়ে বেশি নেচেছে তা কী জানেন? দেড়শ গ্রামের ওই বলটা কার কথা সবচেয়ে বেশি শুনে তাও তো জানা বাকি।

বৃষ্টিভেজা রোমাঞ্চকর এক ফাইনালের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুই বছর ধরে চলা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের যাত্রা। দুই বছরে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলো বিশ্বের নানা প্রান্তে নানা দেশের সাথে মেতেছিল ক্রিকেট যুদ্ধ। ওই লাল বলের ক্রিকেটে নিজেদের সেরা বানানো তাড়ণাটা দেখা যাচ্ছিল প্রতিটা ক্রিকেটারের মাঝেই।

ভারতকে হারিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয় করেছেন নিউজিল্যান্ড। তবে, ওই চামড়ায় মোড়ানো লাল বলটা কার আঙুলে সবচেয়ে বেশি নেচেছে তা কী জানেন? দেড়শ গ্রামের ওই বলটা কার কথা সবচেয়ে বেশি শুনে তাও তো জানা বাকি। চলুন দেখে আসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারীদের।

  • রবিচন্দ্রন অশ্বিন (ভারত)

ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে শেষটা ভালো হয়নি ভারতের। তবে দুই বছরে টেস্ট ক্রিকেটে তাঁদের পারফর্মেন্স মনে ধরেছে। মনে ধরেছে অশ্বিনের ঘুর্ণিও। এই স্পিনার নিজেকে ভারতের সর্বকালের সেরা স্পিনার হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করছেন।

টেস্ট ক্রিকেটে আশ্বিনের ঝুলিতে ৪১৩ উইকেট । ৭৯ টেস্টে ২৪.৫৬ গড়ে এই কীর্তি করেছেন অশ্বিন। তবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেকেও ছাড়িয়ে গিয়েছেন এই স্পিনার। এই দুই বছরে ২০.১৬ গড়ে বোলিং করে নিয়েছেন সর্বোচ্চ ৭১ টি উইকেট। গত কয়েক বছর ধরেই টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের বোলিং লাইন আপের মূল শক্তি অশ্বিন।

  • প্যাট কামিন্স (অস্ট্রেলিয়া)

অস্ট্রেলিয়ার এই পেসারও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ছিলেন দুরন্ত। ফাইনাল ম্যাচের আগ পর্যন্তও চ্যাম্পিয়নশিপের সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক ছিলেন তিনিই। তাঁর দলও ফাইনালের জন্য লড়াই করেছিল শেষ পর্যন্ত। অস্ট্রেলিয়া ফাইনাল খেললে হয়তো অশ্বিনের সাথে লড়াইটা আরো জমে উঠতো।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ২১.০২ গড়ে তিনি নিয়েছেন ৭০ টি উইকেট। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার ডান হাতি এই পেসার দেশটির হয়ে খেলেছেন মোট ৩৪ টি টেস্ট ম্যাচ। সেখানে ২১.৫৯ বোলিং গড়ে তাঁর উইকেট সংখ্যা ১৬৪ টি।

  • স্টুয়ার্ট ব্রড (ইংল্যান্ড)

টেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড। লম্বা সময় ধরেই এই ফরম্যাটে ইংল্যান্ডকে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তবে এবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ডানহাতি এই পেসার হয়ে উঠেছিলেন আরো ভয়ংকর।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এই পেসারের গড় ছিল ২০.০৮। সবমিলিয়ে উইকেট নিয়েছেন ৬৯ টি। ফলে এই আসরের সেরা তিন বোলারের মধ্যে লড়াইটা যে বেশ জমেছিল তা বোঝাই যাচ্ছে। ইংল্যান্ডের হয়ে ১৪৮ টেস্ট খেলা এই পেসার ঝুলিতে আছে মোট ৫২৩ উইকেট।

  • টিম সাউদি (নিউজিল্যান্ড)

অবশেষে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দলে কোনো প্রতিনিধিকে পাওয়া গেল এই তালিকায়। নিউজিল্যান্ডের ডানহাতি এই পেসার ছিলেন এই আসরে দেশটির সবচেয়ে সফল বোলার।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করা সাউদি এই আসরে ২০.৮২ বোলিং গড়ে নিয়েছেন ৫৬ উইকেট। এছাড়া লম্বা সময় ধরেই নিউজিল্যান্ডের বোলিং আক্রমণের মূল ভরসা সাউদি। দেশটির হয়ে এখন অবধি খেলেছেন ৭৯ টি টেস্ট। সেখানে ২৮.৮২ বোলিং গড়ে তাঁর ঝুলিতে আছে ৩১৪ উইকেট।

  • নাথান লিঁও (অস্ট্রেলিয়া)

অস্ট্রেলিয়ার আরেক শীর্ষ বোলার, অফস্পিনার নাথান লিঁও। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে স্বদেশি প্যাট কামিন্সের থেকে তিনি কম নিয়েছেন ১৪ টি উইকেট। নাথান লিঁও টেস্ট ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার স্পিন বোলিং এর মূল ভরসা।

এখন অবধি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এই স্পিনার খেলেছেন ১০০ টি টেস্ট। সেখানে ৩২.১২ বোলিং গড়ে তাঁর ঝুলিতে আছে ৩৯৯ টি উইকেট। এদিকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ৩১.৩৭ গড়ে এই স্পিনার নিয়েছেন ৫৬ টি উইকেট।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...