একটা সময় জুয়াকে ভারতীয় ক্রিকেটে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। পুরনো শিল্পের সেই হারানো শিল্পের পুনরুত্থান হল নতুন এক সারথির হাত ধরে। গৌতম গম্ভীরের হাত ধরে নতুন এক দিনের দুয়ার দেখল ভারত।
আসলে দিন নয়, রাত। গম্ভীরের যুগে কি কি সব ঘটতে চলেছে – সেটার একটা ট্রেইলার লঙ্কান এই রাতে বোঝা গেল। আর সেই ট্রেইলারে দেখা গেল প্রয়োজনে ম্যাচ জিততে প্রতিষ্ঠিত পেসারদের রেখে পার্টটাইমারদের দিয়ে বোলিং করানো হয়, ম্যাচ বের করাও যায়।
গৌতম গম্ভীরের ছোয়ায় এদিন পুরোদস্তর ‘বোলার’ বনে গেলেন মিডিয়াম পেসার কাম হার্ড হিটার ব্যাটার ওরফে দলের অধিনায়ক সুরিয়াকুমার যাদব। রিঙ্কু সিংও তাই। আর এর জন্য নিজেদের শেষ ওভার করতেই পারলেন না খলিল আহমেদ ও মোহাম্মদ সিরাজ।
কারণটা পরিষ্কার – কুশল পেরেরা, কামিন্দু মেন্ডিস এবং চামিন্দু বিক্রমসিংহে- তিনজনই ছিলেন বাঁ-হাতি। প্রথম দুজন দলের অন্যতম সেরা দুই ব্যাটার। চামিন্দুও পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে দুর্দান্ত। তাঁদের বিপক্ষে দুই অফস্পিনারকে দিয়ে ছক কষছিলেন গৌতম গম্ভীর।
যদিও, বোর্ডে রান ছিল সামান্যই। পরিকল্পনা থেকে বল যতটা সম্ভব তাদের শরীর থেকে বাইরে ফেলতে হবে, আর আদায় করতে হবে ডট বল। অন্য সময় হলে এক্ষেত্রেও মোহাম্মদ সিরাজই হতেন ভরসা। কিন্তু, কোচ যে গৌতম গম্ভীর। তিনি ম্যাচের ‘গম্ভীর’ কিছু করবেন না – তা কি করে হয়!
শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার দরকার ছিল নয় রান। ১২ বলে নয় রান। মামুলি লক্ষ্য। হাতে আছে ছয়টা উইকেট। তখন ‘জুয়া’টা খেলতেই হত।
ভারতের তখন হারানোর কোনো ভয় নেই। জিতলে সেটা বোনাস। শেষ বিন্দু পর্যন্ত লড়ে গেলেন রিঙ্কু সিং ও সুরিয়াকুমার যাদব। ১৯ ও ২০ তম ওভার করলেন এই দুই জন। যথাক্রমে তিনটি ও পাঁচটি রান গুণলেন। দু’জনই দুটি করে উইকেট পেলেন।
ম্যাচ চলে গেলে সুপার ওভারে। বাকিটা ইতিহাস। গৌতম গম্ভীরের প্রথম সিরিজটায় প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ উপহার দিল ভারত। আর সেই জয়টা আসল দুই পার্টটাইমারের হাত ধরে!