জয়-পরাজয়ের পার্থক্য গড়ে দেয় রিশাদের ব্যাট

দলের রানকে যতটা সম্ভব বড় করা যায়- সে ভাবনাতেই মাঠে নেমেছিলেন রিশাদ। শেষ অবধি নিজের উদ্দেশ্য পূরণ করেই মাঠ ছেড়েছেন রিশাদ হোসেন। 

জিয়াউর রহমানের বলে টানা তিনটি চার হাঁকালেন রিশাদ হোসেন। তখন থেকেই তার উদ্দেশ্য ছিল পরিষ্কার। দলের রানকে যতটা সম্ভব বড় করা যায়- সে ভাবনাতেই মাঠে নেমেছিলেন রিশাদ। শেষ অবধি নিজের উদ্দেশ্য পূরণ করেই মাঠ ছেড়েছেন রিশাদ হোসেন।

শুরুতেই ফরচুন বরিশালের বেহাল দশা। এক রানে নেই দলের দুই উইকেট। ১৬ রান তুলতেই তিনজন ব্যাটার সাজঘরে। ৬৪ রানের মাথায় অর্ধেক ব্যাটিং লাইনআপ প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছে। অষ্টম ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে আসেন রিশাদ হোসেন। তখন দলীয় সংগ্রহ ৮৭।

এরপর সেখান থেকে বরিশালে ইনিংস থামে ১৬৭। এতটা পথ পাড়ি দেওয়ার অন্যতম কারিগর রিশাদ। দুর্ধর্ষ এক ইনিংস খেলেছেন এই লেগ স্পিনার। দলে তাবড় তাবড় সব ব্যাটার। তাদের ব্যর্থতার দিনে রিশাদ ব্যাট চালিয়েছেন ২০৫ এর বেশি স্ট্রাইকরেটে।

পাঁচটি চারের বিপরীতে একটি বিশাল ছক্কাও এসেছে তার ব্যাট থেকে। তাতে করে মাত্র ১৯ বলে ৩৯ রান যুক্ত হয় রিশাদের নামের পাশে। দলের শুরু বিপর্যয় সামলে তুলেছিলেন অবশ্য মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। উইকেট পতনের মিছিল যখন একটু থমকে দাঁড়িয়েছে, ঠিক তখনই রিশাদ হোসেন নিজের বড় শট খেলার সক্ষমতা দেখালেন বাইশ গজে।

আগ্রাসী ব্যাটিং তিনি করতে জানেন- সেটা সকলের জানা। ইনিংসের শেষের দিকে জয়-পরাজয়ের ব্যবধান গড়ে দেওয়ার দক্ষতা রয়েছে তার ব্যাট হাতে। সেই দক্ষতার আরও একটিবার প্রতিফলন ঘটালেন খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে। তার ওই ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ের কল্যাণে মাঝারি মানের একটা সংগ্রহ হয়েছে লড়াকু।

এই যে শেষের দিকে দ্রুত কিছু রান তিনি যুক্ত করলেন, এটাই বরিশালের জয়ের জন্যে হয়ে যেতে পারে যথেষ্ট। রিশাদ তার প্রতি প্রত্যাশার পারদই বাড়ালেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও এমন সব ইনিংসের দেখা মিলবে রিশাদের কাছ থেকে- সে আশা করতেই পারে সমর্থকরা।

Share via
Copy link