লেগ স্পিনার বাংলাদেশের অনন্তকালের আক্ষেপ কিছুটা বিরতি নিয়েছিল রিশাদ হোসেনের আগমনের পর। ঘরোয়া ক্রিকেট বা বয়সভিত্তিক পর্যায়ে নিজেকে প্রমাণ করার আগেই জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি; আহামরি কিছু করতে না পারলেও একাদশের অংশ বনে গিয়েছিলেন। তবু সংশয় ছিল তাঁকে নিয়ে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সেই সংশয় বাড়িয়ে দিয়েছিল আরো।
তবে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য বেশি সময় অপেক্ষা করেননি এই স্পিনার, দ্বিতীয় ম্যাচেই পুনরায় শিরোনাম দখল করেছেন পারফরম্যান্স। জিম্বাবুয়েকে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন কিংবা বিধ্বংসী কোন স্পেল করেছেন এমনটা হয়নি। তবে টিম ম্যানেজম্যান্ট যা চেয়েছে তাঁর কাছে সেটাই করে দেখিয়েছেন তিনি।
এদিন চার ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩২ রান খরচ করেছেন এই লেগি, বিনিময়ে শিকার করেছেন দুই উইকেট। আগের ম্যাচে যেখানে চার ওভারে ৩৭ রান দিয়ে উইকেটশূন্য সেখানে এমন পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন। তিনি যে মানসিকভাবেও শক্তিশালী সেটাই প্রমাণ হল এতে।
বরাবরের মতই সপ্তম ওভারে রিশাদকে আক্রমণে এনেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম ওভারে একটা চার হজম করেন আর সবমিলিয়ে দেন আট রান। তবে নিজের দ্বিতীয় ওভারে জিম্বাবুয়ের মিডল অর্ডারের ওপর চেপে বসেন তিনি, প্রথম বলেই ফেরান সিকান্দার রাজাকে। এক বল বিরতি দিয়ে এরপর ক্লাইভ মাদান্দেও একই পথ ধরেন।
ব্যক্তিগত তৃতীয় ও চতুর্থ ওভারে অবশ্য তেমন কিছু করতে পারেননি এই ডানহাতি। তাঁর দুই ওভার থেকে ২২ রান আদায় করেছিলেন ব্যাটাররা। এটা নিয়ে কাজ করতে হবে তাঁকে, ভাল বোলিং করলেও হঠাৎ করে ছন্দ হারিয়ে ফেলাটা মোটেও প্রত্যাশিত নয়।
লাল-সবুজের জার্সিতে এখনো রিশাদ হোসেন নতুন; তাঁর সামনে পড়ে আছে সুদীর্ঘ পথ। নিজেকে আরো শাণিত করে তবেই এই পথ পাড়ি দিবেন তিনি সেটাই এখন আশা সমর্থকদের। রশিদ খান, অ্যাডাম জাম্পারাও ক্যারিয়ারের শুরুতে খুব বেশি ভয়ঙ্কর ছিলেন না; সময়ের সাথে সাথে বিশ্বসেরা হয়ে উঠেছেন তাঁরা – টাইগার তারকাও তাঁদের অনুসরণ করবেন নিশ্চয়ই।