পারফরম্যান্সের আগুনেই আক্ষেপকে পুড়িয়ে স্বর্ণালি যাত্রার গল্প লিখলেন রিশাদ হোসেন। সিলেটের হিমশীতল ঠাণ্ডায় তাদের নিজেদের ঘরের মাঠেই স্পিন ঘূর্ণিতে বিধস্ত করলেন তিনি। চার ওভার হাত ঘুরিয়ে ১ মেইডেন সহ ডট বল করেছেন ১৮টা! মাত্র ১৫ রানে এই লেগস্পিনার তুলে নিয়েছেন তিনটি উইকেট। সিলেট স্ট্রাইকারর্সের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়ে মাত্র ১২৩ রানেই গুটিয়ে দেন স্বাগতিকদের।
২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টিতে দেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী রিশাদের আক্ষেপ, হতাশা যদিও ছিল সীমাহীন। বিগব্যাশ লিগে ডাক পেয়েও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বেড়াজালে আটকে যান তিনি। বিপিএলের এবারের আসরের শুরুতেই বেঞ্চে বসে কাটাতে হয়েছে তাকে। তবে ব্যাটিং স্বর্গের সিলেটের মাঠে চলতি বিপিএলের নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই জাত চেনালেন তিনি।
ইনিংসের দশম ওভারে নিজের প্রথম স্পেলেই, চিরচেনা ভেলকিতে আটকে দেন ক্রিজে থিতু হতে যাওয়া জাকির হাসানকে। চার ওভারে সাত রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে তখন খাদের কিনারায় সিলেট। জাহানবাদ আর রিশাদের তান্ডবে নিমেষেই গুটিয়ে যায় সিলেট।
যদিও এখানেই ক্ষান্ত হননি তিনি, তিন ওভারে এসে দারুণ ঘূর্ণিতে বোল্ড করলেন রুয়েল মিয়াকে। বোলিং ফিগারটা তখন তিন ওভারে দুই রান, তিন উইকেট। যদিও শেষ ওভারটাতে আরিফুল হক তাকে এক ছয়, এক চার মেরেছেন বটে তবে ততক্ষণে সিলেটকে খাদের কিনারায় পাঠিয়ে দিয়েছেন রিশাদরা।
রিশাদের এই বোলিং ঝলক দেখা যেতে পারত বিগব্যাশ লিগেও। কিন্তু মাত্র সাতদিনের জন্য হোবার্ট হারিকেন্সের হয়ে খেলার অনাপত্তিপত্র পেয়েছিলেন রিশাদ।এই মারপ্যাঁচেই আর বিগব্যাশ মাতানো হয়নি তার। হোর্বাট হারিকেন্স রিশাদের জন্য শেষ অবধি অপেক্ষা করে দলে ভেড়ায় আফগানিস্তানের লেগস্পিনার ওয়াকার সালামখাইলকে।
তবে বিগব্যাশের আক্ষেপ ঘুচিয়েছেন বিপিএলে জ্বলে উঠে। সুযোগ পেয়েই রিশাদ যেন আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন, হারিয়ে যেতে আসেননি তিনি। দেশের ক্রিকেটে রিশাদের লেগ স্পিন বিপ্লব চলছে, চলবে।