প্রতিশোধ নেওয়ার উপায় জানা আছে রিশাদের। ছক্কা হজমের পরের বলেই বোল্ড করার চাইতে মধুর পন্থা আর হতেই পারে না। রাইলি রুশোর মত ব্যাটারের উইকেটকে ছত্রখান করে দিয়ে রিশাদ হোসেন শুরু করেছেন নিজের নতুন যাত্রা। পাকিস্তান সুপার লিগের অভিষেক ম্যাচেই রিশাদ দলের জয়ের রাস্তা মসৃণ করেছেন, দ্রুত জয় তুলে নিতেও সহয়তা করেছেন।
পিএসএলের অভিষেক ম্যাচেই তিনটি উইকেট শিকার করেছেন রিশাদ হোসেন। তবে এই তিনটি উইকেটের মধ্যে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল রাইলি রুশোর উইকেটটি। প্রোটিয়া এই ব্যাটার রীতিমত তাণ্ডব চালাচ্ছিলেন। কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্সের জয়ের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছিলেন তিনি একা হাতে।
মাত্র ১৮ বলে ৪৪ রান তুলে ফেলেছিলেন বা-হাতি এই ব্যাটার। এমনকি রিশাদকে একটি ছক্কাও হাঁকান। কিন্তু এরপরই রিশাদ তার অস্ত্র ভাণ্ডারের অন্য অস্ত্র ছুড়ে দিলেন রুশোর দিকে। বলের ঘূর্ণির সাথেই খেলতে চেয়েছিলেন রুশো। কিন্তু ফুলার লেন্থে স্ট্যাম্প বরাবর টপ স্পিন ধরতেই পারেননি রুশো। অগ্যতা যা হবার হয়েছে তাই, বোল্ড রুশো।
মোহাম্মদ আমিরকেও বোল্ড আউট করেছেন রিশাদ হোসেন। এ যাত্রায় আবার ভিন্ন অস্ত্র। বেশ দ্রুততার সাথে বলকে টার্ন করান রিশাদ। রুম নিয়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন অভিজ্ঞ আমির। এরপর আবরার আহমেদের উইকেটও যায় রিশাদের পকেটে। পাকিস্তানের এই লেগ স্পিনারকেও বিস্ময়ে ভাসিয়েছেন রিশাদ প্রথম বলেই। অবাক দৃষ্টিতে আবরার তাকিয়ে ছিলেন উইকেটের দিকে।
এরপরের বলে অবশ্য আবরার স্টেপআপ করে ছক্কা হাঁকিয়েছেন রিশাদের বলে। কিন্তু শেষ হাসি হেসেছেন লাল-সবুজের প্রতিনিধি রিশাদ হোসেন। তার পরের বলেই অফ স্ট্যাম্পের দিকে সরে গিয়ে ফাইন লেগ দিয়ে ছক্কা হাঁকাতে চাইলেন আবরার। কিন্তু এ যাত্রায় ব্যর্থ তিনি। ডিপ ফাইন লেগে তালুবন্দী হন তিনি। আর রিশাদের নামের পাশে যুক্ত হয় তৃতীয় উইকেট।
পাকিস্তান সুপার লিগে অভিষেকটা দারুণই কেটেছে রিশাদের। চার ওভার বোলিং করে লাহোর কালান্দার্সের পক্ষে তিনটি উইকেট নিয়েছেন মাত্র ৩১ রান খরচায়। ব্যাট হাতে এদিন অবশ্য নিজের আক্রমণাত্মক সত্ত্বার প্রকাশ ঘটাতে পারেননি।
কিন্তু নিশ্চয়ই সময়-সুযোগ পেলে তিনি মেলে ধরতে চাইবেন নিজের ডানা। নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনের সমস্ত সুযোগ তিনি ঝোলায় ভরে নেবেন নিশ্চয়ই। যাতে করে স্বদেশের মাটিতে সাইডলাইনে বসে থাকার দিনগুলোতে তিনি রোমন্থন করতে পারেন রঙিন সব স্মৃতি।