টি-টোয়েন্টিতে লম্বা সময় ধরে আর কোনো লেগ স্পিনারের ওপরই ভরসা রাখেনি। সেদিক থেকে রিশাদ হোসেন নিজেকে সৌভাগ্যবান মানতেই পারেন। একই সাথে সৌভাগ্য বাংলাদেশেরও। সম্ভবত প্রথমবারের মত কোনো লেগ স্পিনার জাতীয় দলের কোনো একটা ফরম্যাটে থিতু হতে চলেছেন।
হ্যাঁ, এটা ঠিক যে এখন পর্যন্ত রিশাদ খুব বড় কোনো সাফল্য পাননি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৩৫ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট – এটাই এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে তাঁর সেরা পারফরম্যান্স।
তবে, একটা কথা বারবারই বলছেন কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তাঁরা দু’জনই রিশাদকে যতটা সম্ভব সুযোগ দেওয়ার পক্ষে। এমনকি সর্বশেষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) রিশাদ গোটা চারেক ম্যাচ পেয়েছেন – তাতে সাফল্যও আছে।
রিশাদের একটা বড় গুণ হল তিনি মাথা খাটাতে জানেন। সেটার ফলটা তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতেও দেখা গেছে। অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে আসার পর প্রথম ওভারেই কুশল মেন্ডিস তাঁর বলে ছক্কা হাঁকান। পরের বলটাই বেশ ওয়াইডে ফেলে কুশলকে প্রায় সাজঘরের পথ দেখিয়ে ফেলেছিলেন। সেই যাত্রায় বেঁচে যান কুশল। তবে, পরের বলেই আউট হন কামিন্দু মেন্ডিস।
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের উইকেট পাওয়ার ক্ষেত্রেও একই রকম বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেন রিশাদ। তবে, এটা ঠিক যে, একটু খরুচে বোলিং করেন তিনি। ওভার প্রতি প্রায় নয় করে রান দিয়েছেন। তবে, লেগ স্পিনারদের জন্য সব সময়য় মিতব্যয়ী বোলিং করাটা শক্ত। তবে, সময়ের সাথে সাথে এই সমস্যার কিছুটা পরিচর্যাও হওয়া দরকার।
আরেকটা সমস্যা হল, লেগস্পিনারদের অন্যতম প্রধান অস্ত্র গুগলিটা এখনও পুরোপুরি আয়ত্ত করতে পারেননি তিনি। সেটা করতে পারলেই বাংলাদেশ দলের জন্য বড় সম্পদ হয়ে উঠতে পারবেন তিনি।
এমনিতে রিশাদকে বেশ বৈচিত্রময় বোলারই বলা যায়। টপ স্পিন, ফ্লিপার – বেশ অনেক রকম কৌশলই আছে তাঁর অস্ত্রশালায়। এর সাথে গুগলিও যোগ হলে, তাঁকে ঘিরে আশা করতেই পারে বাংলাদেশ। টিম ম্যানেজমেন্টের ভরসা হাতও আছে তাঁর কাঁধে। এবার শুধু নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পালা।