পর্দা উঠলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসরের। আর আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই স্কটল্যান্ডের কাছে ৬ রানে হেরেছে বাংলাদেশ দল। বল হাতে বেশ ভালো অবস্থানে থাকার পরেও ১৪১ রানের লক্ষ্যমাত্রা পায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে রান তাড়া করতে নেমে স্কটিশ বোলারদের দাপুটে বোলিংয়ে হাত খুলতে পারেনি বাংলাদেশ দলের ব্যাটাররা। ব্যাটারদের বাজে পারফরম্যান্স দলকে ছিটকে দিয়েছে জয় থেকে।
ম্যাচ শেষে নিজেদের ভুল স্বীকার করে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জানালেন, ইতিবাচক থেকে পুনরায় নিজেদের সেরাটা দিয়ে টুর্নামেন্টে ফিরে আসতে চায় তাঁর দল।
রিয়াদ বলেন, ‘আমি মনে করি উইকেট বেশ ভালো ছিলো এবং ১৪০ রান তাড়া করার মতোই। আমরা মিডল ওভারের দিকে বড় কোনো ওভার বের করতে পারিনি। বোলাররা তাদের কাজটা দারুনভাবে করেছে। কিন্তু ব্যাটাররা আজকে নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি। আমরা একটা উইকেট দূরে ছিলাম! তাদের ব্যাটাররা খুব ভালো ফিনিশিং দিয়েছে।’
এই ব্যর্থতা ভুলে ভাল ক্রিকেট খেলতে চায় বাংলাদেশ। রিয়াদ বলেন, ‘যখন আপনি ১৪০ রান তাড়া করতে পারবেন না, তখন ভুলগুলো অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে এবং সমাধান করতে হবে। আমাদেরকে এখনো পজিটিভ থাকতে হবে এবং আমরা কোথায় ভুল করেছি তা খুজে বের করতে হবে। এবং সেটা যাতে পুনরায় না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ভালো উইকেট, অসাধারণ মাঠ এবং দর্শক। আমাদেরকে নিজেদের ব্যর্থতা থেকে বেরিয়ে এসে আরো ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সাকিব-মেহেদির স্পিন ঘূর্নিতে ৫৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে স্কটল্যান্ড। সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ক্রিস গ্রিভসের ৪ চার ও ২ ছয়ে ২৮ বলে ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংসে শেষ পর্যন্ত বিপর্যয় কাটিয়ে চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় স্কটল্যান্ড।
এরপর বল হাতেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান গ্রিভস। ৩ ওভারে ১৯ রানের বিনিময়ে শিকার করেন মূল্যবান দুই উইকেট। ৬ রানে ম্যাচ জয়ের পর ম্যাচ সেরার পুরষ্কারটা উঠলো ধ্বংসস্তুপ থেকে দলকে উদ্ধার করা গ্রিভসের হাতেই। আর তিনি জানালেন দলের জয়ে অবদান রাখতে পারাটা তিনি বেশ উপভোগই করেছেন।
গ্রিভস বলেন, ‘সত্যি বলতে আমরা খুব কঠিন অবস্থায় ছিলাম। ওই জায়গা থেকে পুনরায় ইনিংস বিল্ডআপ করে শেষ পর্যন্ত কতটুক যাওয়া যায় সেটাই ছিলো লক্ষ্য। আমি বেশ খুশি সেই দায়িত্বটা পালন করতে পেরে। ওই স্কোর করার কারণে বোলারদের জন্যও কিছু করাটা সহজ হয়ে যায়। এটা অসাধারণ একটা ম্যাচ ছিলো। আমি মনে করি এটা আমার দিন ছিলো। যেকোনো দিন আমাদের স্কোয়াডের অন্য কেউ এটা করতে পারতো। আমি বেশ খুশি যেভাবে দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরেছি। সত্যি অবিশ্বাস্য! আমি এটা সত্যি খুব উপভোগ করেছি। আশা করি এমন দিন আরো আসবে।’
ওমানের আল আমিরাতে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৪০ রান সংগ্রহ করে স্কটল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বোলারদের দৃঢ়তায় ৬ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্কটল্যান্ড। বল এবং ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম করা অলরাউন্ডার গ্রিভস ছিলেন ম্যাচের নায়ক।