রবিন উথাপ্পা ২০১৪ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) ছিলেন অবিশ্বাস্য ফর্মে। ৬৬০ রান করে ছিলেন আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। টানা আট ইনিংসে ৪০-এর ওপর রান করেছিলেন, এর আগে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে এই কীর্তি এর আগে ছিল না কারোরই।
আসরে মোট ১১ বার খেলেছিলেন ৪০ পেরোনো ইনিংস, যা ছিল আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ। দুর্দান্ত মৌসুম কাটিয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়াগামী ভারত ‘এ’ দলে। বাংলাদেশ সফরে ফিরেছিলেন জাতীয় দলে। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠেও জায়গা পেয়েছিলেন দলে।
কলকাতা ইডেন গার্ডেনসে ১৩ নভেম্বর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে উথাপ্পা ক্রিজে আসেন ইনিংসের ৪১ তম ওভারেও ৷ তার সামনে ছিল ভাল একটা ইনিংস খেলে পরের বছর বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাকা করে নেয়ার হাতছানি।
উথাপ্পা যখন ক্রিজে আসলেন, তখন ভারতের দলীয় স্কোর – ২৭৬/৪। রোহিত শর্মা অপরাজিত ১৩০ বলে ১৫৫ রান করে। অন্যপ্রান্তে ব্যাটসম্যান যখন বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করছেন, তখন অপর ব্যাটসম্যানেরও হাত খুলে খেলার ইচ্ছে জাগাটা স্বাভাবিক। বিশেষ করে যখন আপনি রবিন উথাপ্পা এবং কালেভদ্রে দলে সুযোগ পান।
কিন্তু, উথাপ্পা নিজের কথা না ভেবে ভাবলেন দলের কথা, রোহিতের কথা। ৫৮ বলের জুটিতে নিজে খেললেন ১৬ বলে অপরাজিত ১৬ রানের ইনিংস। বাকি ৪৬ বলে রোহিত করলেন ১০৯। নন্দন কাননে চার-ছক্কার বৃষ্টি নন-স্ট্রাইক প্রান্তে দাঁড়িয়ে দেখলেন উথাপ্পা। ১৬ বলের মধ্যে ১২ বলেই দৌঁড়ে এক রান নিয়ে স্ট্রাইক দিয়েছেন রোহিতকে।
এরপর কেবল চারটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন উথাপ্পা। বিশ্বকাপটা আর খেলা হয়নি। পরেও তাঁর আর সুযোগ আসেনি। আর রোহিত শর্মা হয়ে উঠেছেন মহীরুহ।
আরো পড়ুন
রোহিত শর্মার সেদিনকার ইনিংসটা এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক।
- ৫০ রান – ৭২ বল
- ১০০ রান – ১০০ বল
- ১৫০ রান – ১২৫ বল
- ২০০ রান – ১৫৩ বল
- ২৫০ রান – ১৬৬ বল
- ২৬৪ রান – ১৭৩ বল
সফরকারী শ্রীলঙ্কা সেদিন গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ২৫১ রানে। ৪০৪ রান করা ভারত জেতে ১৫৩ রানে। কাকতালীয়ভাবে শচীন টেন্ডুলকার আর বীরেন্দর শেবাগের ডাবল-সেঞ্চুরির ম্যাচেও ভারত জিতেছিল ১৫৩ রানেই।