ক্রিকেট বিশ্বকে পাওয়ার হিটার উপহার দেয়ার জন্য বাড়তি খ্যাতি রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেলদের পর সমসাময়িক নিকোলাস পুরান কিংবা শিমরন হেটমায়ার তো সব ফ্রাঞ্চাইজি লিগে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। বিধ্বংসী পাওয়ার হিটারের এই তালিকায় সাম্প্রতিক সংযোজন রোমারিও শেফার্ড – অন্তর্ভুক্তির কারণটা অবশ্য বলার দরকার নেই, দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে নিজেই দেখিয়েছেন তিনি কি করতে পারেন।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের এদিন কেবল ১০ বল খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। ১০ বলে কত রান আশা করা যায়, ২০ রান কিংবা সর্বোচ্চ ৩০! অথচ তিন চার এবং চার ছক্কার মারে ৩৯ রান আদায় করেছেন তিনি। একটা সময় মুম্বাইয়ের দলীয় সংগ্রহ দুইশ’র আশেপাশে থাকবে এমনটা মনে হলেও তাঁর এমন পারফরম্যান্সে শেষ পর্যন্ত ২৩৪ রান হয়েছে।
হার্দিক পান্ডিয়ার বিদায়ের পর সপ্তম ব্যাটার হিসেবে বাইশ গজে এসেছিলেন উইন্ডিজ ক্রিকেটার। প্রথম বল থেকে এক রান নিয়েছিলেন দেখেশুনে, এর পরের বলে হাঁকিয়েছিলেন চার। হাঙর যেমন রক্তের ঘ্রাণ পেলে ভয়ানক হিংস্র হয়ে উঠে, তিনিও বাউন্ডারির স্বাদ পেয়ে তেমন হিংস্র হয়ে উঠেছিলেন।
এই হিংস্রতার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে আনরিখ নর্কিয়ের ওপরে। বিশতম ওভারে বল করতে এসে রীতিমতো বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন প্রোটিয়া পেসার। তাঁর প্রথম বলে একদম সোজাসুজি চার মেরেছিলেন শেফার্ড, পরের বলটা লং অনের ওপর দিয়ে সরাসরি ছক্কা।
ওভারের চতুর্থ আর পঞ্চম বলের ফলাফলও একই, ডিপ স্কয়ার লেগ আর কভারের ওপর দিয়ে দুইটা ওভার বাউন্ডারি আদায় করে নেন তিনি। এখানেই থামেননি এই তারকা, শেষ দুই বলে আবার হাঁকিয়েছেন এক চার ও এক ছয়। সবমিলিয়ে শেষ ওভার থেকে ৩২ রান তুলেছেন তিনি – এককথায় অবিশ্বাস্য।
টিম ডেভিডের সঙ্গে মাত্র ১৩ বলের জুটি গড়েছিলেন এই ডানহাতি, তাতেই এসেছে ৫৩ রান। সেখানে সিংহভাগ অবদান অবশ্য তাঁরই, কিন্তু ডেভিডের প্রশংসা না করলে অন্যায় হবে। মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে নেমে এই অজি ২১ বলে করেছিলেন ৪৫ রান। তিনি এমন পারফরম্যান্স করতে না পারলে হয়তো রোমারিও শেফার্ডের টর্নেডো দেখতে পেতো না ওয়াংখেড়ের দর্শকেরা।