বয়স ৩৯ এর কোঠায়, তাও গোলের ধারা থেমে নেই সিআর সেভেন খ্যাত ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। তবে বোধহয় এই বয়সের ছাপ শেষমেশ তার খেলাতেও এসেছে। বড় টুর্নামেন্টগুলোতে একরকম নিরবই থাকেন তিনি।
এই তো গত ইউরোর কথাই ধরি। যে রোনালদো গত দু’ম্যাচেই পর্তুগালের হয়ে গোল পেয়েছেন। সে রোনালদোই ২০২৪ ইউরোতে ছিলেন গোল শূণ্য। গোলের চেষ্টায় ছিল না কোনো কমতি যদিও। ২৩ বার গোল অভিমুখে সুযোগ সৃষ্টি করেন। যার ৮ টাই লক্ষচ্যুত হয়েছে সিআর সেভেনের।
গত বিশ্বকাপেও সেভাবে জ্বলে উঠতে দেখা যায়নি রোনালদোকে। সেখানেও মাত্র এক গোল পান। সেটিও আসে পেনাল্টির বদৌলতে।
এই একই রোনালদো ইউরো কোয়ালিফায়ারে ছিলেন প্রকট। যেখানে ৯ ম্যাচে হয়ে ওঠেন বিধধ্বংসী। করে বসেন দশ গোল। আবার সৌদি প্রো লিগেও রয়েছেন দারুন ফর্মে। যেখানে ৬ ম্যাচে তার রয়েছে ৫ গোল। সাথে দুই এসিস্ট।
নেশন্স লিগেও আছেন দারুন ছন্দে। গত তিন ম্যাচেই গোল পেয়েছেন তিনি। যদিও বৈশ্বিক ফুটবল পটে ইউয়েফা নেশন্স লিগ ঐতিহ্যগত দিক থেকে তুলনামূলক অগুরুত্বপূর্ণ লিগ। যা বিশ্ব ফুটবলে নব্য।
সেক্ষেত্রে এমনটা ধরেই নেয়া যায় যে দলগুলো বিশ্বকাপ, কনফেডারেশন কাপের কথা ভেবে এই প্রতিযোগীতায় অনিয়মিত তারকাদের সুযোগ দেন। সাথে তরুনদের গড়ে তোলেন। ফলে এখানে প্রতিযোগীতার প্রাবল্যটাও থাকে কম। তবে কী রোনলদো পর্তুগাল দলের বাহুল্য? আদতেও কি বড় মাপের টুর্নামেন্টে তিনি জ্বলে উঠতে পারছেন?
ফুটবল চিত্রে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রেই থাকতে পছন্দ করেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তবে অবিনাশি এ গোল মেশিনের পায়েও লেগেছে বয়সের ছোয়া। ফলে অধিক প্রতিযোগীতামূলক জাতীয় টুর্নামেন্টে প্রত্যাশিত সাফল্য না এলেও গোলের ধারা থামাতে রাজি নন সিআর সেভেন।