রান আউট না করে ফাহিমকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ সাইফউদ্দিনের!

ফাহিম যখন পেছনে ফিরে তাকান তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। বল ততক্ষণে সাইফউদ্দিনের হাতে, তিনি অবশ্য ফাহিমকে আমন্ত্রণ জানান। ভাবটা এমন ছিল না, পারলে এই সময়ে দৌঁড়ে আসো। পরে বল ছুড়ে ব্যাটারের দিকেও মারতে চান। ফাহিম অবশ্য পাত্তা না দিয়ে চলে যান সাজঘরে।

ফরচুন বরিশালের ‘ফরচুন’ কাজে লেগে গেছে কাইল মায়ার্সের। না হলে কি আর এভাবে বেঁচে যেতে পারেন তিনি। অবশ্য, সেই আক্ষেপ আছে ফাহিম আশরাফের। দুর্ভাগ্যের সাথে সাথে সাইফউদ্দিনের ‘ছেলেমানুষি’ও হজম করতে হয়েছে তাঁকে।

তবে, যাই হোক দুই বিদেশির আউট কিংবা নট আউট নিয়ে দারুণ নাটকীয়তা হয়ে গেল সিলেটে।

এদিন ভাগ্যের ছোঁয়াও পেয়েছেন মায়ার্স। ম্যাচের তখন ১৬ তম ওভারের খেলা চলছে। পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে ক্যাচ দিয়েছিলেন উইকেটের পেছনে। তবে, অতিরিক্ত একজন ফিল্ডার ত্রিশ গজের বাইরে থাকায় বেঁচে যান তিনি।

মায়ার্স সাজঘরে প্রায় চলেই গিয়েছিলেন। তখনই, বিষয়টা আম্পায়ারের নজরে আনেন তাওহীদ ‍হৃদয়। সেই লাইফ পেয়ে শেষ পর্যন্ত ২৯ বলে ৬১ রান করে অপরাজিত ছিলেন মায়ার্স। তাঁর ব্যাটেই বোর্ডে ১৯৭ রান জমা করে ফরচুন বরিশাল।

মায়ার্সকে এদিন যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছিলেন পাকিস্তানের ফাহিম আশরাফের সাথে। ফাহিম আশরাফ শেষ ওভার পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন। ২০ তম ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান মায়ার্স। এরপরই রান আউটের ফাঁদে পড়েন ফাহিম।

ব্যাটে বলে করতে পারেননি মায়ার্স। বল উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের হাতে গিয়ে জমা পড়ে। এর মধ্যে প্রান্ত বদল করতে চেয়েছিলেন ফাহিম আশরাফ। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। সোহান বল ছুড়ে মারেন নন-স্ট্রাইকিং এন্ডে।

ফাহিম যখন পেছনে ফিরে তাকান তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। বল ততক্ষণে সাইফউদ্দিনের হাতে, তিনি অবশ্য ফাহিমকে আমন্ত্রণ জানান। ভাবটা এমন ছিল না, পারলে এই সময়ে দৌঁড়ে আসো। পরে বল ছুড়ে ব্যাটারের দিকেও মারতে চান। ফাহিম অবশ্য পাত্তা না দিয়ে চলে যান সাজঘরে।

Share via
Copy link