টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে সেরা তারকারা চলে গেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। ফলে, অনেকটা খর্ব শক্তির দলই নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। তবে, ভারতের তো আর তারকার কমতি নেই। তাই, সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আশা ছিল। তবে, সেই আশা পূর্ণ হয়নি। প্রথম ওয়ানডেতে লখনৌতে ভারত হেরেছে নয় রানের ব্যবধানে।
বৃষ্টির কারণে ৪০ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে বড় সংগ্রহই দাঁড় করিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। চার উইকেট হারিয়ে করে ২৪৯ রান। বড় স্কোর গড়েছেন হেনরিক ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। মিলার ৬৩ বলে ৭৫ ও ক্লাসেন ৬৫ বলে ৭৪ রান করেন।
জবাব দিতে নেমে ব্যর্থ হয় ভারতের উদ্বোধনী জুটি। মাত্র চার রানেই দুই ওপেনার ফিরে যান সাজঘরে। রুতুরাজ গায়কড় আর ঈশান কিষাণও রান পাননি। দু’জনই আউট হয়েছেন যথাক্রমে ১৯ ও ২০ রানে।
তবে, শ্রেয়াস আইয়ার ৩৭ বলে ৫০ রানের একটা ইনিংস খেলে ভারতীয় দলকে ম্যাচে ফেরান। তবুও বিপদ ছিল। কারণ মাত্র ১১৮ রানেই পাঁচ উইকেট হারায় ভারত। সেখান থেকে ৯৭ রানের জুটি গড়েন সাঞ্জু স্যামসন ও শার্দুল ঠাকুর। এই জুটিতে জয়ের স্বপ্নটা আবারও দেখতে শুরু করে ভারত।
তবে, ২১১ রানের মাথায় জোড়া উইকেট হারায় ভারত। শার্দুল ৩১ বলে ৩৩ রান করে ফিরে যান সাজঘরে। পরের বলেই আউট হন কুলদ্বীপ যাদব। সেখান থেকে আর ম্যাচে ফেরা সম্ভব হয়নি ভারতের। শেষের দিকে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে ভারতের ইনিংস।
শেষ ওভারে দুই উইকেট হাতে নিয়ে জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল ৩০ রান। প্রথম বলটা ওয়াইড হয়। এরপরের ডেলিভারিতে ছক্কা। পরের চার বলের তিনটিতেই চার মারেন সাঞ্জু স্যামসন। তবে, শেষ রক্ষা হয়নি। কারণ, শেষ বলে তখন দরকার ১১ রান। সেই বলে নিতে পারেন একটি রান। শেষ ওভারে ২০ রান আসলেও ভারত হারে নয় রানে।
৬৩ বলে ৮৬ রান করে অপরাজিত থাকেন সাঞ্জু। তাঁর তিন ছক্কা আর নয়টি চারের ইনিংসে অবশ্য জয়ের ব্যবধান কমানো ছাড়া ভারতের আর কোনো লাভ হয়নি।
এই জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা। নয় অক্টোবর, রোববার রাঁচিতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে দু’দল। সেটাও দিবারাত্রীর ম্যাচ।