সাব্বির হোসেন, অধরা ফাস্ট বোলিং অলরাউন্ডারের স্বপ্ন

শেষ থেকেই শুরু করে ভালো একটা মঞ্চই আপাতত তৈরি করে ফেলেছেন তিনি, দেখা যাক হতে পারেন কিনা বেলা শেষের রঙিন আভা!

সাব্বির হোসেন -দেরিতে ফোঁটা এক পদ্মফুল! বয়সটা ২৮ ছুঁইছুঁই। জাতীয় ক্রিকেট লিগের চলতি আসরের অন্যতম সেরা পারফরমার। তাঁর চেয়েও বড় কথা তিনি পেস বোলিং অলরাউন্ডার, এই জায়গাটা যে বরাবরই বাংলাদেশ ক্রিকেটে ফাঁকা একটা জায়গা।

১৪ ইনিংসে ৫০০-এর ওপর রান আর ১৫-এর বেশি উইকেট নিয়েছেন। ব্যাটে-বলে সমানতালেই অবদান রেখেছেন পুরো আসর জুড়ে। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি দিয়ে শুরু করেছিলেন, শেষ ম্যাচেও শক্তিশালী সিলেটের বিপক্ষে পেলেন আরেকটা সেঞ্চুরি। আছে দুইটা অর্ধশতকও। বোলিংয়ে সেরা ফিগার ৬/৪৭ টাও এসেছে এবার রংপুরের বিপক্ষে।

আসলে আবির্ভাব না, বলে যেতে পারে এটি যেন তার পুনর্জাগরণ৷ মাত্র ২১ বছর বয়সেই প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল তার। মাঝে সাতটা বছর কেটে গেলেও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি সেভাবে। তবে নিজের সেরাটা যেন ধরে রেখেছিলেন এবারের জাতীয় ক্রিকেট লিগের বড় মঞ্চের জন্যই, তার দল রাজশাহী পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থাকলেও নিজের সবোর্চ্চটা উপড়ে দিয়েছেন তিনি।

যদিও, টুর্নামেন্টের শেষ ইনিংসটা রাঙাতে পারেননি তিনি। দলীয়৷ সবোর্চ্চ ৪৩ রান করা নিহাদুজ্জামান আউট হওয়ার পর দ্রুত সাজঘরে ফেরেন তিনিও। সফর আলীর পেস তাণ্ডবে ১৮০ রানে পাঁচ উইকেট থেকে মাত্র ১৮৬ রানেই অল আউট হয়ে যায় সিলেট। এত সাফল্যর পরেও এই একটা জিনিস কিন্তু মোটা দাগে চোখে পরে, ধারাবাহিকতার অভাব।

খালি চোখে পরিসংখ্যানের মারপ্যাচে হয়ত এড়িয়ে যায় তা, তবে এই ইঁদুর দৌড় প্রতিযোগিতায় লম্বা রেসের ঘোড়া হতে গেলে, পারফর্ম করতে হবে নিয়মিত এটি তিনিও হয়ত বেশ ভালো করেই জানেন। শেষ থেকেই শুরু করে ভালো একটা মঞ্চই আপাতত তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। বেলা শেষের রঙিন আভা দেখা যাবে কি না – সেটা সময়ই বলে দেবে! কিন্তু, অধরা পেস বোলিং অলরাউন্ডারের স্বপ্ন দেখতে ক্ষতি কি!

Share via
Copy link