মেয়েদের আইপিএল খেলেছেন ২০২২ সালে। অথচ, জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন ১৬ মাস। ফিরেই টানা তিনটা বড় ইনিংস। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের অন্যতম কাণ্ডারি!
শারমিন আক্তার সুপ্তার এই অভাবনীয় উত্থানের ম্যাজিকটা কি? আসলে ম্যাজিক নয়, পরিশ্রমেই সফল সুপ্তা। আর এই পরিশ্রমের আড়ালে লুকিয়ে আছে আরেকটি মানুষের নাম।
তিনি বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের বিপদের সঙ্গী মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। সুপ্তার বিকাশও হয়েছে তাঁর হাত ধরেই। অধুনা জাতীয় দলের সহকারী কোচের দায়িত্ব পাওয়া সালাহউদ্দিনের সাথে লম্বা সময় কাটিয়েছেন সুপ্তা। শুধরে নিয়েছেন নিজেকে।
সাকিব আল হাসানের শৈশবের কোচ হিসেবে খ্যাত সালাহউদ্দিন। একটা সময় তাঁর হাত ধরে আমূল বদলে যায় সাকিবের ব্যাটিং স্ট্যান্ট। বিশ্বকাপ হোক কিংবা আইপিএল, যেকোনো বড় আসরের প্রস্তুতির জন্য সাকিবের প্রিয় পছন্দ ছিলেন সালাহউদ্দিন স্যার।
সুপ্তাও মাসকো ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে পাশে পেয়েছেন সালাউদ্দিনকে। ২০১১ সালে জাতীয় দলে সুপ্তার অভিষেক হলেও, সেই অর্থে দলে তিনি থিতু হতে পেরেছেন খুবই কম। ক্যারিয়ারে অনেক উত্থান-পতন দেখেছেন। তবে, এক যুগের বেশি সময় কাটিয়ে ফেলার পর অবশেষে পায়ের নিচের মাটি খুঁজে পাচ্ছেন।
অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি বলেছিলেন, শারমিন আক্তার সুপ্তার ব্যাটিংয়ে পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট। আর সেই পরিবর্তন কতটা, তার প্রমাণ মাঠেই পাওয়া গেল।
প্রথম ইনিংসে চার রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি। আধুনিক ওয়ানডের মান রেখে ১০৮ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন। সেই ইনিংস যে ফ্লুক ছিল না – তাঁর প্রমাণ মিলল পরের দু’টি ইনিংসে। দ্বিতীয় ম্যাচে করেন ৪৩ রান। আর সর্বশেষ ম্যাচে সুপ্তার ব্যাট থেকে আসে ৭২ রান। সিরিজ সেরা খুঁজতে দ্বিতীয়বার ভাবার দরকারই হয়নি!