নিজেকে নতুন এক পরিচয়ে সামনে নিয়ে আসতে চাইছেন যেন সাইফ হাসান। এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে রাঙিয়ে রাখতে চাইছেন নিজস্ব রঙে। রান করে যাচ্ছেন আপন ঢঙ বদলে। ধারাবাহিকতাও রয়েছে তার ব্যাটে। রংপুর রাইডার্সের অন্যতম কাণ্ডারিতে পরিণত হয়েছেন তিনি।
বিপিএলের আগে দু’টো ভিন্ন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের টুর্নামেন্ট খেলেছিলেন সাইফ হাসান। গ্লোবাল সুপার লিগের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রংপুর। কিন্তু সেই দলের হয়ে তিন ম্যাচ খেলে মাত্র ৪১ রান এসেছিল তার ব্যাট থেকে। এরপর ঘরোয়া এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টেও মাঠে নেমেছেন সাইফ হাসান।
কিন্তু সেখানেও ব্যর্থতার ধারা ছিল অব্যাহত। গ্লোবাল সুপার লিগের চাইতেও বাজে সময় কাটিয়েছেন ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটিতে। এনসিলএল টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন সাত ম্যাচ, রান সংগ্রহ করেছেন মোটে ৪৭টি। ঠিক এসব কারণেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে বিবেচিত হন না তিনি।
জাতীয় দলের হয়ে যদিও তার অভিষেক ঘটেছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির অভিষেক সিরিজে মাত্র এক রান নিতে সক্ষম হন দুই ম্যাচ থেকে। তাই তো সাইফও টি-টোয়েন্টি ঘরনার ব্যাটিং করতে জানেন, তেমন কোন চিত্র নেই কারও স্মৃতিতে। সেই স্মৃতি বদলে দেওয়ার ব্রত নিয়েছেন সাইফ। একাদশ বিপিএলকে নিজের ভেঙে গড়ার নতুন মঞ্চ হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
অসাধারণ একটা ইনিংস তিনি খেলে গেছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে। ৪৯ বলে ৮০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দিয়েছেন সাইফ হাসান। ১৮৬ রানের অনবদ্য এক জুটি গড়েন অ্যালেক্স হেলসের সাথে। তাতে করে ২০৫ রানের টার্গেটকেও সামান্য বানিয়ে দলের জয়ের পথ সুগম করেন তিনি।
এবারের বিপিএলে এটি তার দ্বিতীয় পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস। ৮০ রানের এই ইনিংসটির সুবাদে এখন অবধি তিনিই এবারের বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তাছাড়া এই ইনিংসটিতে সাইফের ছিল না তেমন কোন জড়তা। অবলীলায় সাতটি ছক্কা মেরেছেন তিনি। তিনটি চারও এসেছে সাইফের ব্যাট থেকে।
এই যে নিজেকে বদলের ফেলার মিশনে নেমেছেন সাইফ, সেই মিশনের সফলতাই হয়ত কামনা করছে সকলে। কেননা তার ব্যাটে রান যেমন রংপুরকে আরও একটি শিরোপা জিততে সহয়তা করবে, ঠিক তেমনি বাংলাদেশ দলের জন্যও বয়ে নিয়ে আসতে পারে ইতিবাচক বার্তা।