সাইফের স্টেটমেন্ট! এশিয়া কাপের যোগ্য তিনি

অফ স্পিনে ফিরে এসেই নিলেন দুই উইকেট। এশিয়া কাপে তাঁকে দলে নেওয়ার মূল কারণই ছিল বোলিং শক্তি বাড়ানো।

প্রায় দুই বছর পর টি-টোয়েন্টিতে ফিরলেন সাইফ হাসান। ফিরেই নিজের সক্ষমতার প্রমাণ দিলেন। অফ স্পিনে ফিরে এসেই নিলেন দুই উইকেট। এশিয়া কাপে তাঁকে দলে নেওয়ার মূল কারণই ছিল বোলিং শক্তি বাড়ানো। প্রস্তুতি সিরিজে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছিলেন, আজও সেটা মাঠে দেখালেন সাইফ।

সিলেটের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে মাত্র ১৩৬ রান তুলেছে নেদারল্যান্ডস। বাংলাদেশের বোলারদের পাশাপাশি কৃতিত্ব দিতে হবে ফিল্ডারদেরও। সাতটা ক্যাচ নিখুঁতভাবে তালুবন্দি করেছেন তারা। ইনিংসের একেবারে শেষ বলে রানআউট হয়ে ফিরেছেন টিম প্রিঙ্গল।

আসলে শুরুটা কিন্তু দুর্দান্ত ছিল ডাচদের। পাওয়ারপ্লের প্রথম তিন ওভারেই ২৫ রান তুলে ফেলেন ওপেনার ম্যাক্স ও’ডাউড—তিনটি চার আর একটি ছয়ে এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে। কিন্তু তাসকিন আহমেদের আগমন বদলে দেয় ছবিটা। নিজের প্রথম বলেই ও’ডাউডকে ফেরান তাসকিন, সেই ওভারে দেন মাত্র এক রান।

এরপর তেজা নিদামানুরু ও স্কট এডওয়ার্ডস মিলে প্রতিরোধ গড়তে চেয়েছিলেন। ঠিক তখনই সাইফ হাসানের এক ওভার—দুই উইকেটে কাঁপিয়ে দেয় নেদারল্যান্ডসকে। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা।

প্রথম ১০ ওভারে চার উইকেটে ৬৮ রান তোলে নেদারল্যান্ডস। পরের ১০ ওভারে আসে সমান ৬৮ রান, হারাতে হয় আরও চার উইকেট। বাংলাদেশের পেসারদের ভিন্ন ভিন্ন ভ্যারিয়েশন সামলাতে গিয়েই ব্যাটারদের হিমশিম খেতে হয়েছে।

মোট কথা, বোলার আর ফিল্ডারদের সমন্বয়ে দারুণ কাজ করেছে বাংলাদেশ। উইকেট ভালো, আউটফিল্ড সবাই ছিলেন বিদ্যুতের মতো দ্রুতগতির।

Share via
Copy link