পাকিস্তান সিরিজেও নেই সাইফ!

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই নভেম্বরে তিন টি-টোয়েন্টি ও দুই টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসবে পাকিস্তান। দুই টেস্টই ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে থাকবে। ১৯ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২০ তারিখ দ্বিতীয় এবং ২২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি।

ভাবা হতো বাংলাদেশের পেস অলরাউন্ডারের অভাবটা পূরণ হবে তার হাত ধরেই। চোট আর বাজে ফর্ম যেনো পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশী পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের।

সবশেষ চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাজে পারফরম্যান্সের পরই জানা যায় ইনজুরিতে বিশ্বকাপ শেষ সাইফের। টুর্নামেন্ট শুরুর আগ থেকেই সাইফউদ্দিন ও তাসকিনের ইনজুরি নিয়েও ছিলো শঙ্কা। সেই শঙ্কা বাস্তবে রূপ নিলো! কপাল পুড়লো সাইফের। টুর্নামেন্টের মাঝ পথেই ফেরত আসেন দেশে।

এবার জানা গেলো পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে আসন্ন সিরিজে খেলতে পারেন না সাইফ। ইনজুরির কারণে প্রায় ১ মাস প্রাথমিকভাবে বিশ্রামে থাকবেন তিনি। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘এক মাস পর সাইফের রিহ্যাবিলিটেশন প্রক্রিয়া শুরু হবে। আপাতত সে বিশ্রামে থাকবে। ‘

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই নভেম্বরে তিন টি-টোয়েন্টি ও দুই টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসবে পাকিস্তান। দুই টেস্টই ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে থাকবে। ১৯ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২০ তারিখ দ্বিতীয় এবং ২২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি।

বিশ্বকাপের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে বৃহস্পতিবার দেশে ফেরত আসেন সাইফউদ্দিন। অবশ্য মিডিয়ার সামনে বাংলাদেশের বিশ্বমঞ্চে ভরাডুবি নিয়ে কোনো কথা বলেননি তিনি। একজন টিম অফিসিয়ালের তথ্যমতে ২৪ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে ‘ব্যাক পেইন’ ইনজুরিতে ভোগার পর পরীক্ষা শেষে জানা যায় টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলোতে আর খেলতে পারবেন না তিনি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকটা ২০১৭ সালে। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে পাঁচ বছর খেললেও অভাবনীয় কোনো সাফল্যর এখন পর্যন্ত দেখা পাননি সাইফউদ্দিন। চোটের কারণে বাইরে না থাকলে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে প্রায় নিয়মিত মুখ তিনি। পেস অলরাউন্ডারের তকমা গায়ে নিয়ে এলেও তার কতটা এখন পর্যন্ত দেখাতে পেরেছেন সেটি নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।

২০১০ সাল থেকেই পিঠের ইনজুরি বয়ে বেড়াচ্ছেন সাইফউদ্দিন। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলার সময় সিটি ক্লাব মাঠে ড্রাইভ করার পর কবজি ফেটে যায় সাইফের। পিঠের সমস্যাটাও ছিলো আগ থেকেই।

চোটের কারণে খেলতে পারেননি সবশেষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)। ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত সিরিজেও চোটের কারণে খেলতে পারেননি তিনি। এমনকি পিঠের চোটের কারণে বিশ্বকাপের পরে পাঁচ মাস ছিলেন মাঠের বাইরে। ক্যারিয়ারে চোটের সাথে লড়াই করতে করতে ইতিমধ্যেই কেটে গেছে লম্বা সময়।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...