জাতীয় দলে ফেরার পর থেকে দুই ফরম্যাটে ভিন্ন দুই রূপে দেখা যাচ্ছে সঞ্জু স্যামসনকে। ওয়ানডেতে রানের ফুলঝুড়ি ছোটালেও টি-টোয়েন্টিতে ছন্দ খুঁজে পাননি তিনি।
পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাটে ১৩ ম্যাচে স্যামসন করেছেন ৩৯০ রান, গড় ৫৫.৭১ আর স্ট্রাইক রেট ১০৪। অথচ ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে ২৩ ম্যাচ খেলে এই ব্যাটসম্যান মাত্র ৩৩৪ রান করেছেন, যেখানে গড় বিশের কম আর স্ট্রাইক রেট ১৩১.৪৯।
পারফরম্যান্সে এমন পার্থক্যের কারণও আছে; ওয়ানডে ফরম্যাটে মিডল অর্ডারে খেলা সঞ্জু স্যামসন সময় নিয়ে ইনিংস খেলতে পারেন। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে কাছাকাছি পজিশনে ব্যাটিং করলেও তখন ফিনিশারের দায়িত্ব পালন করতে হয় তাঁকে; ফলে নিজের সহজাত খেলাটা খেলতে পারেন না তিনি।
সঞ্জু স্যামসনের সতীর্থ রবিচন্দ্রন অশ্বিনও তেমনটা মনে করেন। তাই তো স্যামসনকে উপরের দিকে খেলানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি; বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এই ডান-হাতিকে টপ অর্ডারে দেখতে চান অশ্বিন।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এই অফ স্পিনার বলেন, ‘জিতেশ শর্মা, রিঙ্কু সিং দুইজনে ৫,৬ নম্বরে খেলানোর মত ব্যাটসম্যান। তবে আমার মনে হয় উইকেটরক্ষক হিসেবে জিতেশের চেয়ে স্যামসন এগিয়ে থাকবে। সেক্ষেত্রে আসন্ন সিরিজ গুলোতে তাঁকে উইকেট কিপিংয়ের দায়িত্ব দেয়ার পাশাপাশি টপ অর্ডারেও বাজিয়ে দেখা যায়।’
টি-টোয়েন্টিতে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করায় সাঞ্জু স্যামসনের প্রতিভার অপচয় ঘটছে কি না সে ব্যাপারে অশ্বিন মনে করেন ভারতের টপ অর্ডার আসলে অপরিবর্তনীয়। তবে একটা সময় স্যামসন তিন কিংবা চারে ব্যাট করবেন বলেই বিশ্বাস এই তারকা বোলারের।
বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে চার নম্বরে খেলবেন কে সেটা নিয়েও কথা বলেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তাঁর মতে, লোকেশ রাহুল না খেললেও হয়তো বিরাট কোহলিকেই দেখা যাবে এই পজিশনে।
অশ্বিন বলেন, ‘বিরাট ২০১১ বিশ্বকাপে চার নম্বরে খেলেছে। আবার রবি ভাই (রবি শাস্ত্রী) বিরাটকে চারে খেলানোর কথা বলেছেন যাতে টপ অর্ডারে একজন বামহাতিকে সুযোগ দেয়া যায়। এটা সম্ভব হবে যদি রাহুল না খেলে; সেক্ষেত্রে ওপেনিংয়ে খেলবে উইকেট কিপার ঈশান কিষাণ।’
অবশ্য শ্রেয়ার আইয়ার ফিট হয়ে উঠলে তাঁকে জায়গা করে দেয়ার জন্য ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে করা পরিকল্পনায় পরিবর্তন আসতে পারে। কেননা বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই ডানহাতি টিম ইন্ডিয়ার অন্যতম সেরা মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।