থিতু হওয়ার চ্যালেঞ্জে সাঞ্জু ছুটছেন রানগাড়িতে

বেঞ্চে বসে জিতেছেন বিশ্বকাপ। নিজেকে প্রমাণের সুযোগটুকুও মেলেনি সাঞ্জু স্যামসনের। দ্বিতীয় সারির দলের সাথে জিম্বাবুয়ে সিরিজে তিনি। তবুও ব্যাট হাতে রানের দেখা মেলেনি। অবশেষে রানের দেখা পেলেন সাঞ্জু স্যামসন, ভারত শিবিরে বইলো স্বস্তির হাওয়া, ঘুচলো চিন্তার ভাঁজ।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টতে পূরণ করলেন অর্ধশত রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। তাকে ঘিরে ভারতীয় সমর্থকদের প্রত্যাশা অনেক। তবে দলে তারকা খেলোয়াড়দের ভীড়ে সুযোগ না পাওয়ার আক্ষেপও রয়েছে। সেসবকে পাশ কাটিয়ে সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে চাইছেন তিনি।

তাঁর সাম্প্রতিক সময়ের সেরা ইনিংস খুঁজতে হলে যেতে হবে সর্বশেষ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের (আইপিএল) আসরে। অবশ্য সেখানেও তেমন আহামরি কোনো পারফর্ম্যান্স নেই এই ব্যাটারের ঝুলিতে। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে বেশ মলিনই ছিলেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।

বেশ অনেক দিন যাবত ছিলেন রানের বাইরে। মাঝে অবশ্য সুযোগ পেয়েও তার সঠিক ব্যবহার করতে পারেননি ভারতের এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। যদিও তিনি ছিলেন বিশ্বকাপের স্কোয়াডে, তবে ভারতের জার্সি গায়ে ২২ গজে তাঁর শিল্প প্রদর্শনের সুযোগ হয়ে ওঠেনি তাঁর। বেঞ্চে বসেই দলের খেলা উপভোগ করতে হয়েছে তাঁকে, উদযাপন করেছেন ভারতের বিজয়।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে একাদশে না থাকলেও, পরের তিন ম্যাচে ঠিকই ছিলেন তিনি। ভূমিকাটা ছিল তরুণ দলে অভিজ্ঞতার সঞ্চার ঘটানো। যদিও নিজেকে মেলে ধরার সুযোগটা হয়ে ওঠেনি সেই দুই ম্যাচে। অবশ্য তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে অপরাজিত থেকেই ইনিংস শেষ করেন তিনি।

আর শেষ ম্যাচে খেললেন ৪৫ বলে ৫৮ রানের এক ইনিংস। যদিও তা ছিল চলনসই। তবে সেই ইনিংসে ছিল ১টি চারের সাথে চারটি দৃষ্টিনন্দন ছক্কা; স্ট্রাইক রেট ছিল প্রায় ১৩০।

সাঞ্জুর সামনে চ্যালেঞ্জ অনেক। তার জায়গার দাবীদার র‍য়েছে বেশ কয়েকজন। সেকারণেই ম্যান ইন ব্লুদের শিবিরে নিজের জায়গাটা পাকা করতে তাঁকে চোখ ধাঁধানো কিছু করতে হবে। দেখাতে হবে নিজের সক্ষমতার পূর্ণাঙ্গ চিত্র। সময় ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে। ভারত দলে প্রতিযোগিতা যে দিনের সাথে সমানুপাতিক হারে বাড়ে।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link