দু’টি কারণে বারবার উপেক্ষিত সরফরাজ

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ইতিহাসে স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের পর সবচেয়ে বেশি ব্যাটিং গড় তাঁর। ৭৯.৬৫ গড়ে ৩৭ ম্যাচে ৩৫০৫ রান। যার মধ্যে সর্বশেষ তিন মৌসুমেই করেছেন ২৫০০-এর বেশি রান। তারপরও বারবার জাতীয় দলে উপেক্ষিত থাকছেন মু্ম্বাইয়ের ব্যাটার সরফরাজ খান। কারণ কী?

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ইতিহাসে স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের পর সবচেয়ে বেশি ব্যাটিং গড় তাঁর। ৭৯.৬৫ গড়ে ৩৭ ম্যাচে ৩৫০৫ রান। যার মধ্যে সর্বশেষ তিন মৌসুমেই করেছেন ২৫০০-এর বেশি রান। তারপরও বারবার জাতীয় দলে উপেক্ষিত থাকছেন মু্ম্বাইয়ের ব্যাটার সরফরাজ খান।

সম্প্রতি উইন্ডিজ সফরে ভারতের টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছেন চেতেশ্বর পুজারা। এ ছাড়া ইনজুরির কারণে লোকেশ রাহুল, ঋষাভ পান্তও রয়েছেন দলের বাইরে। স্কোয়াডে এতজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের অনুপস্থিতিতে সরফরাজ খানকে যোগ্য মনে করেননি ভারতীয় নির্বাচকরা। 

অথচ সরফরাজ খানের চেয়ে কম ব্যাটিং গড় নিয়ে সুযোগ মিলেছে রুতুরাজ গায়কোয়াড় আর ইশান কিষাণের। সরফরাজ খানের বারবার এমন ব্রাত্য থাকার কারণ কি? 

সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্তা গণমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, ‘সমর্থকদের প্রতিক্রিয়া থাকবেই। কিন্তু সরফরাজকে না নেওয়ার পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। বার বার তো এ ভাবে কাউকে প্রত্যাখ্যান করা যায় না। একাধিক কারণ রয়েছে ওকে না নেওয়ার।’

কী সেই কারণগুলো? বিসিসিআই-এর এ কর্তা নিজস্ব ব্যাখ্যায় জানিয়েছে, ‘রঞ্জিতে দুটো মৌসুমে ৯০০ রান করা ব্যাটারকে নেবে না, নির্বাচকেরা অতটাও বোকা নয়। সরফরাজের ফিটনেস মোটেই আন্তর্জাতিক মানের নয়। শেষবার তাঁর ইয়ো ইয়ো টেস্টে স্কোর ছিল মাত্র ১৬.৪৫।  ওকে কঠোর পরিশ্রম করতে হব। ওজন ঝরাতে হবে। তবেই দলে সুযোগ পাবে।’

তবে শুধুমাত্র ফিটনেস নয়, সরফরাজকে দলে না নেওয়ার ক্ষেত্রে আরেকটি কারণও রয়েছে। যেটার কারণে সরফরাজ নির্বাচকদের চক্ষুশূল হয়ে পড়ছে।

এ নিয়ে ঐ বোর্ডকর্তা বলেন, ‘মাঠে এবং মাঠের বাইরে ওর আচরণ খুব একটা ভাল নয়। বেশ কিছু ঘটনা নির্বাচকেরা লক্ষ করেছেন। ওকে আরো শৃঙ্খলাপরায়ণ হতে হবে।  আশা করি আগামী দিনে সরফরাজ এ বিষয়ে তাঁর বাবা এবং কোচ নওশাদ খানের সঙ্গে আলোচনা করবে।’

বোর্ড কর্তার এমন অভিযোগ অবশ্য মিথ্যা নয়। এ বছরের শুরুতে রঞ্জি ট্রফির এক ম্যাচে দিল্লির বিপক্ষে শতরান করার পর সরফরাজ মাঠে উপস্থিত থাকা প্রাক্তন প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মাকে ইঙ্গিত করে উদযাপন করেছিলেন। যেটা মোটেই ভালভাবে নেননি চেতন শর্মা। 

এর আগে গত বছর রঞ্জি ফাইনালেও সরফরাজের একটি আচরণ নিয়ে বেশ বিতর্ক হয়েছিল তৎকালীন মধ্যপ্রদেশের কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের সঙ্গেও ঝামেলা হয় তাঁর। এ ছাড়া ভারতীয় দলে জায়গা না পাওয়ার পর সামাজিক মাধ্যমে প্রায় সময়েই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায় সরফরাজকে। 

সব মিলিয়ে সরফরাজের এমন অপরিণত আচরণই জাতীয় দলে তাঁর সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই প্রশ্ন থেকেই যায়, সরফরাজের এহেন আচরণে তিনি নিজেই ধীরে ধীরে নির্বাচকদের রেড বুকে চলে যাচ্ছেন না তো?

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...