এই সময়ের টেস্ট ক্রিকেটে সৌদ শাকিল একটা বিশেষ ব্যাপার। রীতিমত ব্র্যাডম্যানীয় গড়ে তিনি ব্যাট করে যাচ্ছেন। ক্যারিয়ারের ২০ তম ইনিংসে গিয়েই তিনি হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছে গেছেন তিনি। পেয়েছেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি।
পাকিস্তানের উইকেট বরাবরই কথা বলে ব্যাটারদের হয়ে। রাওয়ালপিন্ডিতেও প্রথম ওই আধা ঘণ্টা বাদ দিলে পুরোটা সময় জুড়েই রাজত্ব করে যাচ্ছেন ব্যাটাররা। সেই মিছিলের অগ্রাধিনায়ক হলেন সৌদ শাকিল।
এই টেস্ট শুরুর আগেও সৌদ শাকিল ব্যাট করেছেন ৬০-এর ওপর গড় নিয়ে। এই ইনিংস শেষে সেটা নি:সন্দেহে আরও বাড়বে। এই সৌদ শাকিলকে একালের ব্র্যাডম্যান না মানার কোনো উপায় নেই।
সৌদ শাকিল পাকিস্তানের তরুণ কোনো ব্যাটার নন। ২৭ বছর বয়সে তাঁর টেস্ট অভিষেক হয়। তবে দেরিতে অভিষেক হলেও পাকিস্তান ক্রিকেটে শাকিল কিন্তু অপরিচিত নাম নন। ২০১৪ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অধিনায়ক ছিলেন তিনি।
তবে পাকিস্তানের ক্রিকেটে সৌদ শাকিল প্রথম লাইম-লাইটে আসেন ২০১৮ সালে। সেবার কায়েদ ই আজম ট্রফিতে সব থেকে বেশি রান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকেই। তারপরও জাতীয় দলে সুযোগ পাচ্ছিলেন না।
অবশেষে ২০২১ সালে সেই সুযোগ আসে। যদিও ২০২১ সাল থেকে পাকিস্তান দলে থাকলেও প্রথম একাদশে সুযোগ পেতে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় তাঁকে। তবে অভিষেকের পর পিছন ফিরে তাঁকাতে হয়নি তাঁকে।
এবার পাকিস্তানি ব্যাটারেদের মধ্যে যৌথভাবে তিনি দ্রুততম সময়ে এক হাজার রানের মাইল ফলকে পৌঁছেছেন তিনি। সমান ২০ ইনিংস খেলে একই কীর্তি গড়েছিলেন সত্তর দশকের পাকিস্তানি ব্যাটার সাঈদ আহমেদ।
আজকালকার ক্রিকেট ভক্তদের কাছে সাঈদ আহমেদের নামটা একদমই পরিচিত নয়। ৪১ টা টেস্ট খেলে ৪০-এর ওপর গড় নিয়ে তিন হাজার ছুঁই ছুঁই রানের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারকে এত দিন বাদে মনে রাখার খুব একটা কারণও নেই।
তাঁর উত্তরসূরি সৌদ শাকিল নিজেকে কতটা স্মরণীয় করে রাখতে পারেন – সেটা সময়ই বলে দেবে। তবে, এই সময়টা যে অন্তত তাঁর – সেটা বলে না দিলেও চলে।