আর্জেন্টাইন ফুটবল স্ক্যান্ডাল

লাতিন ফুটবলকে বলা হয় তরুণ প্রতিভার খনি। কিন্তু সেখানেই বিভিন্ন স্তরের ফুটবলের চলে ভয়ংকর ব্যাপটিজম বা র‍্যাগিং। সহিংস ব্যাপটিজম মোটামুটি পরিচিত একটি শব্দ প্রফেশনাল ক্লাব গুলোর জন্য। যদিও বেশির ভাগ সময়ে তরুণ খেলোয়াড়দের ওপর এমন করুণ ঘটনা সবসময় উঠে আসে না সংবাদমাধ্যম গুলোতে। তবে এবার আর্জেন্টিনার ঘড়োয়া লিগে এমনই এক ব্যাপটিজমের ঘটনা সামনে এলো।

ব্যানফিল্ড আর জিমনাসিয়ার মধ্যকার ম্যাচে ইগনাসিও মিরামন নামক এক ফুটবলার লাথি দিয়ে বসেন নিজ দলের খেলোয়াড় ব্রাহিয়াম আলেমানকে। অদ্ভুত এই ঘটনা দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ঘটনার পেছনের কারণ খুঁজতে গিয়ে বের হয়ে আসে ভয়ানক এক অপরাধের গল্প।

আর্জেন্টাইন সাংবাদিক মাতেও রোমেরোর তুলে আনেন জিমনাসিয়া ক্লাবের মধ্যে চলা এই ব্যাপটিজমের ঘটনা। তিনি বলেন, ‘মিরামনের লাথি দেয়া সেই সতীর্থ আলেমান একটা গ্যাং পরিচালনা করেন যার নাম লস নিঞ্জাস। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো বয়সভিত্তিক দল থেকে উঠে আসা তরুণদের র‍্যাগিং বা মারধর করা। ঐতিহাসিক ভাবে এটি সাধারণত রাগবি দলে এমন প্রচলন ছিল।’

মাতেও আরো জানান, ২০২১ সালে জুন মাসে আলেমান তার দলবলসহ মিরামনের কক্ষে যায় এবং তাকে বেধে মারধর করে। যদিও জিমনাসিয়া ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয় যেই ২০২১ সালের ঘটনাকে সামনে এনে ক্লাবের কিছু খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে ব্যাপটিজমের অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা।

জিমনাসিয়া ক্লাব তাদের বিবৃতিতে বলে, ‘যেই তথ্যা ছড়িয়ে পড়েছে তাতে আমরা হতাশ। আমাদের ক্লাবের নীতি ব্যাপটিজম বা যেকোনো ধরণের শারীরিক বল প্রয়োগের বিপক্ষে। খেলার মধ্যে যেকোনো ধরণের সহিংসতাকে আমরা নিন্দা জানাই।’

যদিও জিমনাসিয়া ক্লাবের সভাপতি মারিয়ানো কোয়েন একটি সংবাদ মাধ্যমের কাছে স্বীকার করেন এমন ঘটনা ঘটার কথা। তিনি জানান, মিলিটারি ব্যারাকে এমন মারধর বা র‍্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। এর সাথে জড়িত সবাইকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলেও জানান কোয়েন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link