আট গোলের রোমাঞ্চকর এক লড়াই। সেখানে নায়ক বনে গেলেন স্পেনের বদলি খেলোয়াড় সার্জিও ক্যামেলো। তাঁর জোড়া গোলে অলিম্পিক ফুটবলের ফাইনালে স্বাগতিক ফ্রান্সকে ৫-৩ ব্যবধানে পরাজিত করে স্বর্ণ জয় করল স্পেন।
নির্ধারিত সময়ে ৩-৩ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল। পার্ক ডি প্রিন্সেসে ম্যাচটি গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে রায়ো ভায়োকানো ফরোয়ার্ড ক্যামেলা ১০০ মিনিটে স্পেনকে এগিয়ে দেবার পর একেবারে শেষ মুহূর্তে আরো এক গোল করে স্বর্ণ জয় নিশ্চিত করেন। সেখান থেকে আর ফিরে আসার কোনো সুযোগই ছিল না ফ্রান্সের সামনে।
স্পেন কোচ সান্তি দেনিয়া ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘অলিম্পিকে জয়ের পর কোচদের বিজয় মঞ্চে যাবার কোন নিয়ম নেই। এটা শুধুই খেলোয়াড়দের বিজয়। তারা এটা করে দেখিয়েছে। একটি পরিবারের মত আজ সবাই লড়াই করেছে। সৌভাগ্যবশত: আজ আমরা স্বর্ণ জয় করেছি যার অপেক্ষায় ছিলাম দীর্ঘদিন।’
তিন বছর আগে টোকিও গেমসে রৌপ্য পদক নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল স্পেনকে। ১৯৯২ বার্সেলোনা গেমসের পর এনিয়ে দ্বিতীয় বারের মত অলিম্পিকে স্বর্ণ জয় করলো স্পেন। বার্সেলোনায় স্বর্ণ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন বর্তমানের দুই জনপ্রিয় কোচ পেপ গার্দিওলা ও লুইস এনরিকে।
এদিকে লস এ্যাঞ্জেলেস গেমসের ৪০ বছর পর ফুটবলে দ্বিতীয় স্বর্ণ জয়ের আশায় ছিল ফ্রান্স। কিন্তু এবারও তাদেরকে রৌপ্য নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে। অঁরি বলেন, ‘যেভাবে শেষ করতে চেয়েছিলাম তার পুরোটা অর্জিত হয়নি। কিন্তু তারপরও আমি বলবো এটি একটি অসাধারণ রাত ছিল। আমরা পদক নিয়ে বাড়ি ফিরছি, যে কারনে প্রত্যেকের কাছেই এই ফাইনাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
গত মাসে জার্মানিতে ইউরা চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা জয়ের পর এবার ছোটদের এই অলিম্পিক বিজয় স্প্যানিশ ফুটবলকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। অতি সম্প্রতি অনুর্ধ্ব-১৯ ইউরোর ফাইনালে ফ্রান্সকে পরাজিত করে স্পেন শিরোপা জয় করেছে।
যদিও দারুণ এক ম্যাচের পর অঁরির দল মাথা উঁচু করেই মাঠ ছেড়েছে। এই দৃশ্য অনেকটাই ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে দুর্দান্ত লড়াইয়ের পর ফ্রান্সের পরাজয় বরণ করে মাঠ ছাড়ার স্মৃতিকে মনে করিয়ে দিয়েছিল।