বাবরকে ছেঁটে ফেলার পরিকল্পনা ছিল আফ্রিদির

ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য দীর্ঘদিন পর দলের বাইরে থাকা সাবেক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদকে দলভুক্ত করেছিলেন আফ্রিদি। আর সরফরাজকে দলে নিতে ছেঁটে ফেলেছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। এমন চমক জাগানিয়া দল নির্বাচনের পর আফ্রিদি আরো একটি বিস্ফোরক সিদ্ধান্তের পথেও ছুটে ছিলেন। আফ্রিদি নাকি নিয়মিত অধিনায়ক বাবর আজমকে অধিনায়কত্ব থেকেই সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন!

রমিজ রাজার পদত্যাগের পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) নতুন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন নাজাম শেঠি। পিসিবি প্রধান হয়ে এসেই আভাস দিয়েছিলেন বেশকিছু পরিবর্তনের। সেই লক্ষ্যে পিসিবিতে প্রথম পরিবর্তন এনেছিলেন নির্বাচক কমিটিতে।

মোহাম্মদ ওয়াসিমকে সরিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব দিয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদিকে। অবশ্য আফ্রিদিও বেশিদিন এ দায়িত্ব পালন করেননি। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে অব্যাহতি নিয়েছিলেন মাস খানেক বাদেই। তবে স্বল্প সময়ের মধ্যেই দল নির্বাচনে বেশ কিছু চমক দেখিয়েছিলেন তিনি।

ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য দীর্ঘদিন পর দলের বাইরে থাকা সাবেক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদকে দলভুক্ত করেছিলেন আফ্রিদি। আর সরফরাজকে দলে নিতে ছেঁটে ফেলেছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। এমন চমক জাগানিয়া দল নির্বাচনের পর আফ্রিদি আরো একটি বিস্ফোরক সিদ্ধান্তের পথেও ছুটে ছিলেন। আফ্রিদি নাকি নিয়মিত অধিনায়ক বাবর আজমকে অধিনায়কত্ব থেকেই সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন!

এমন বিস্ফোরক তথ্যই সম্প্রতি বেরিয়ে এসেছে স্বয়ং নাজাম শেঠির কাছ থেকে। এক ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আফ্রিদির নেতৃত্বে একটা নির্বাচক কমিটি তৈরি করেছিলাম। তো আমার সাথে তাদের প্রথম আলোচনায় তারা একটি প্রস্তাব দিয়েছিল। প্রস্তাবটা ছিল এমন, বাবরকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া। অবশ্য এ ব্যাপারে কয়েকদিন বাদেই তাঁরা মত বদল করেছিল।’

এক পর্যায়ে এ অনুষ্ঠানে বাবর আজমের পক্ষেই কথা বলেন পিসিবি প্রধান নাজাম শেঠি। তিনি বলেন, ‘যত দিন বাবর  নিজে ভাল ছন্দে থাকবে আর তাঁর অধিনায়কত্বে দল জিতবে, তত দিন সেই-ই পাকিস্তানের অধিনায়ক থাকবে। এখন বাবর ব্যর্থ হয়, হারতে থাকে তাহলে তাঁর অধিনায়কত্ব নিয়ে মানুষ প্রশ্ন তুলতেই পারে।’

অবশ্য বাবর আজমের নেতৃত্বে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক ফর্ম কিন্তু ইতিবাচক কথা বলছে না। সর্বশেষ ঘরের মাটিতে দু’টি সিরিজেই হেরেছে পাকিস্তান। ওয়ানডে , টেস্ট, এমনকি টি-টোয়েন্টি — কোনো ফরম্যাটেই বাবরের অধীনে পাকিস্তান শেষ বেশ কয়েকটা সিরিজে ভাল করছে না। তাই বাবরের অধিনায়কত্বে পিসিবি’র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারবার।

নাজাম শেঠির সময়কালে আরেকটি প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্ত হলো, শান মাসুদকে ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা।এর আগে মাত্র ৫ ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা ছিল এ ক্রিকেটারের। ওয়ানডে দলেও নিয়মিত নন। তাই এমন অদ্ভুতুড়ে সিদ্ধান্তে বেশ সমালোচিত হয়েছিল পিসিবি। অবশ্য সহ-অধিনায়ক হওয়ার পর এখন পর্যন্ত পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে একটি মাত্র ম্যাচই খেলার সুযোগ পেয়েছেন শান মাসুদ।

সম্প্রতি আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাবর আজমের জায়গায় শাদাব খানকে অধিনায়ক করে দল ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান। যদিও পিসিবি থেকে বলা হয়েছিল, বাবরকে সে সিরিজের জন্য বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। তারপরও এমন সিদ্ধান্ত কিছুটা কানাঘুষারও জন্ম দিয়েছিল। বাতাসে গুঞ্জন ছিল, শাদাব খানকে ভাবনাতেই রেখে হয়তো পরিকল্পনা সাজাচ্ছে পিসিবি।

যদিও নাজাম শেঠি টুইট করে পরিস্কার ভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন যে, বাবর আজমই অধিনায়ক থাকছেন। তাছাড়া, আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে শাদাব খানের নেতৃত্বে ব্যর্থই হয়েছিল। ২-১ এ হেরে প্রথমবারের মতো আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ হাতছাড়া করেছিল। তাই বাবর আজমকে টপকে আপাতত অধিনায়ক হওয়ার দৌঁড়ে পিছিয়েই আছেন শাদাব খান। এই অবস্থায় আবার শাহীন শাহ আফ্রিদির নামও শোনা যাচ্ছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) অধিনায়ক হিসেবে তাঁর ফর্ম দুর্দান্ত।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...