একটা রিটার্ন গিফট সাদমান ইসলামকে দিতেই হতো। দুই বার তাকে জীবন দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল্ডাররা। তাদের এহেন উদারতার প্রতিদান হিসেবে সাদমান একটা অর্ধশতক করলেন। সেটা ক্যারিবিয়ানদের জন্যে ফোঁড়ন কাটার মত হলেও বাংলাদেশের জন্যে স্বস্তির উপহার।
বাংলাদেশের টপ অর্ডারের যাচ্ছেতাই অবস্থা। ধারাবাহিকতা তো দূরে থাক, ঠিকঠাক শট খেলাও যেন ভুলে গেছেন সবাই। ব্যাটারদের দূর্বলতাগুলো যেন প্রতিপক্ষের জন্যে উন্মুক্ত দ্বার। সেসব আড়াল করতেও ব্যর্থ সকলে মিলে। এমন পরিস্থিতি জন্ম দিয়েছে তিক্ততা।
সাদমান সেই তিক্ত স্বাদের বিপরীতে একটুখানি মধু ঢেলে দিতে চাইলেন। তবে সেজন্যে তার প্রয়োজন হয়েছে দুই দফা জীবনের। সুন্দরবনের মৌয়ালরাও সম্ভবত দ্বিতীয় সুযোগ পাননা সচারচর। অ্যালিক আথানেজ স্লিপ অঞ্চলে একবার ক্যাচ ফেলেছেন। আরেকবার ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের হাত থেকে ছুটেছে ক্যাচ।
১৫ রানে একবার জীবন পাওয়া সাদমান তৃতীয় জীবন পেয়েছেন ঠিক তার ২০ রান পরেই। এরপর নিশ্চয়ই ইনিংস বড় করা ছিল তার দায়িত্ব। ভাগ্য বিধাতা যতটুকু সাহায্য করার তা করে দিয়েছেন। সাদমান ইনিংস বড় করেছেন বটে। শতকের ঠিক অর্ধেক করেছেন তিনি দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে।
স্যাবাইনা পার্কের বাজে আউটফিল্ডের কারণে দুই সেশন খেলা গড়ায়নি মাঠে। বৃষ্টি হওয়ার পর, ঘাসযুক্ত উইকেটে বাংলাদেশ দুই উইকেট হারিয়েছিল দলীয় দশ রানে। সেখান থেকে প্রতিরোধ গড়তে হতো। দুই জীবন পাওয়া সাদমান প্রতিরোধের মূল কাজটা করলেন।
প্রাথমিকভাবে তাই জাকির হাসানের পরিবর্তে তাকে একাদশে সুযোগ দেওয়াটা যথার্থ প্রমাণিত হল। কিন্তু ২০ তম টেস্ট খেলতে নামা সাদমানের এই অর্ধশতকে খুব বেশি স্বস্তি খোঁজার উপায় নেই। এই নিয়ে পাঁচবার তিনি পঞ্চাশোর্ধ রান করেছেন। শতক হাঁকিয়েছেন মাত্র একটি।
একজন ওপেনার হয়েও মাত্র একটি শতক, আরাম কেদারার অনুভূতি দেওয়ার জন্যে মোটেও যথেষ্ট নয়। জরাজীর্ণ টপ অর্ডারে নিজেকে প্রমাণের এর থেকে ভাল সুযোগ সাদমান খুব একটা পাবেন না। তৃতীয় জীবন কোথায় থামে সেটাই এখন দেখার বিষয়।