অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ যেন নবজীবন দিয়েছে জুলিয়ান আলভারেজকে। ম্যানচেস্টার সিটি থেকে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদে যোগ দেয়ার পর ধীরে ধীরে ফর্ম খুঁজে পেয়েছেন তিনি, আর এখন হয়ে উঠেছেন ধারাবাহিক। গত ম্যাচেই স্পার্টা প্রাগের বিপক্ষে জোড়া গোল দিয়েছিলেন, এবার রিয়াল ভায়ালোদিদের বিপক্ষে তাঁর পা থেকে এসেছে এক গোল আর এক অ্যাসিস্ট।
শুরুটা করেছিলেন ৩৫ মিনিটের সময়, অ্যান্টনি গ্রিজম্যানের শট গোলরক্ষক কার্ল হেইন ফিরিয়ে দিলে রিবাউন্ডে বল জালে জড়ান এই আর্জেন্টাইন। তাতেই নতুন ক্লাবের তাঁর গোলসংখ্যা দুই অঙ্কের ঘরে পা রাখে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে স্প্যানিশ জায়ান্টদের হয়ে দশ গোল করেছেন তিনি; সেটাও আবার মাত্র ২১ ম্যাচে।
তবে এদিন গোল করেই থেমে ছিলেন না এই তরুণ, গ্রিজম্যানের সঙ্গে আরো একবার জুটি গড়েছেন তিনি। ফরাসি তারকা প্রথমে তাঁর দিকে বল ঠেলে দিলে তিনি ওয়ান টাচ পাসেই খুঁজে নেন সতীর্থকে। বাকি কাজ সহজেই করেছেন গ্রিজম্যান।
গোল, অ্যাসিস্ট বাদেও আলভারেজের প্রশংসা করতে বাধ্য হবেন আপনি। যে ইচ্ছে আর উদ্দেশ্য নিয়ে জার্সি বদলেছেন তিনি, সেই ইচ্ছে আর লক্ষ্য পূরণ করতে খুব বেশি সময় লাগেনি। ইতোমধ্যে দিয়েগো সিমিওনের পরিকল্পনায় অন্যতম মেইন ম্যান হয়ে উঠেছেন তিনি; হয়ে উঠেছেন দলের অন্যতম কান্ডারি।
অবশ্য অ্যাতলেটিকোর সঙ্গে আর্জেন্টাইনদের গভীরতম সম্পর্ক রয়েছে। আগের ম্যাচে আলভারেজের জোড়া গোলের পাশাপাশি জোড়া গোল করেছিলেন অ্যাঞ্জেল কোরেরাও। আবার ভায়োলিদাদের বিপক্ষে জালের দেখা পেয়েছেন রদ্রিগো ডি পল; অনেকদূর থেকে দৌড়ে এসে জাভি গালানের পাসের নাগাল পান তিনি। দারুণ ফিনিশিংয়ে বাকি কাজ সারতে আর কষ্ট হয়নি তাঁর।
এছাড়া একটি করে গোলের দেখা পেয়েছেন ক্লেমন্ত লেংলেট এবং অ্যালেক্সান্ডার সরলথ। অর্থাৎ সবমিলিয়ে ৫-০ গোলের বড় জয় পেয়েছে দলটি। এই জয়ে দুই নম্বরে উঠে এসেছে তাঁরা, বার্সেলোনার সমান ম্যাচ খেলে তাঁদের সংগ্রহ এখন ৩২ পয়েন্ট।