অধিনায়ক হিসেবে ২০২২ ও ২০২৩ সালে টানা দুবার লাহোর কালান্দার্সকে পিএসএল শিরোপা এনে দিয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। এবার তাঁর সামনে সুযোগ রয়েছে হ্যাটট্রিক শিরোপা জেতার।
পিএসএলে নিজের নেতৃত্বের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্বও এখন এ পেসারের কাঁধে। অথচ কখনোই নাকি অধিনায়ক হতে চাননি শাহীন! পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, একমাত্র ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খানের পরামর্শেই তিনি অধিনায়ক হয়েছিলেন।
সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন শাহীন আফ্রিদি। পাকিস্তানের এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি বয়সভিত্তিক ক্রিকেটেও কখনও অধিনায়কত্ব করিনি। অধিনায়কত্ব নিয়ে আমার কখনোই আগ্রহ ছিল না। তবে ২০২১ সালে আমি, লাহোর কালান্দার্সের মালিক সামিন ভাই এবং আকিব জাভেদ প্রধানমন্ত্রীর অফিসে বসে কথা বলছিলাম। তখন ইমরান খান ছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তো আলাপচারিতার এক পর্যায়ে আমাকে অধিনায়ক বানানোর পরামর্শ দেন তিনি। আপনি ইমরান ভাইকে কখনোই না বলতে পারবেন না। এরপরই আমি লাহোরের অধিনায়ক হলাম, আগে ছিলাম সহ-অধিনায়ক।’
অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট খেলতে না চাওয়ায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন হারিস রউফ। এ নিয়ে কিছুটা হতাশই হয়েছেন শাহীন আফ্রিদিও। এবারের পিএসএলে তাঁর দলের হয়েই খেলবেন হারিস রউফ।
হারিসকে নিয়ে এমন সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে শাহীন বলেন, ‘পিসিবির সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার বেশি কিছু বলার নেই। কিন্তু সিদ্ধান্তটা এমন সময় এল, যখন এক দিন পর আমাদের ম্যাচ। হারিস মানসিকভাবে খুব শক্ত ছেলে। আশা করি, বিষয়টি তার ওপর খুব একটা প্রভাব ফেলবে না। আর পিসিবি সম্ভবত বুঝতে পারবে, এ সময়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়াটা ঠিক ছিল না। ও এমন একজন পেসার, যে সব সময় পাকিস্তানের হয়ে খেলতে চায়।’
তবে সব আলোচনাকে এক পাশে রেখে শাহীন আফ্রিদির এখন লক্ষ্য হ্যাটট্রিকের শিরোপার দিকে। পিএসএলের ইতিহাসে যেটা কেউ করে দেখাতে পারেননি, সেই ইতিহাসটাই বদলাতে চান তিনি। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা দুবার জিতেছি। তিন নম্বরটাও জিততে পারি’।